বিএনপি সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া ওসি জাহাংগীর আরিফের বিরুদ্ধে ভয়ভীতি দেখিয়ে অন্যের জমি জোর করে লিখে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে।
তার নিজের গ্রামের বাড়ি যশোরের সীমান্তবর্তী উপজেলা শার্শার কায়বা ইউনিয়েনের বাইকোলা গ্রামের মানুষ তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছে।পুলিশের ভয় দেখিয়ে জোর করে অন্যের জমি দিয়েছেন। বর্তমানে তিনি অন্যের জমিও জোর দখল করে নেয়ার জন্য সন্ত্রাসীদের লেলিয়ে দিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন একই গ্রামের মিলন গাজী।
গ্রামের প্রবীন ব্যক্তি নাজিম উদ্দিন গাজী অভিযোগে বলেন, বর্তমানে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় থেকেও সরাসরি বিএনপির ওসি কিভাবে চাকুরী করছেন সেটা আমার বোধগম্য নয়। সে গ্রামের মানুষকে ভয়ভীতি দেখিয়ে জমি লিখে নিচ্ছে কম দামে। জমি লিখে ন্ াদিলে তাদের বাড়িতে মাস্তান পাঠিয়ে হুমকী দিচ্ছেন্। বৃদ্ধ নজিম উদ্দিন গাজির কাছ থেকে জমির দাগ নং ভুল হয়েছে বলে তার নিজস্ব কলম বাগানের অতিরিক্ত ৩ শতক জমি কৌশলে লিখে নেয়। বৃদ্ধা ও তার ছেলেরা আজও পর্যন্ত সেই জমি উদ্ধার করতে পারেনি।
ওসির আপন ফুফু পারুল বেগমের অভিযোগ,তার নিজের পুকুর বিক্রির সময় দাগ নং-২৮২৫ এর পরিবর্তে কৌশলে ২৭৮২ দাগের আরও অতিরিক্ত ৪ শতক জমি লিখে নেয়। বৃদ্ধ পারুল বেগম ও তার বোনেরা তখনও বুঝতে পারেনি তাদেও কাছ থেকে ফাঁকি দিয়ে অতিরিক্ত ৪ শতক জমি লিখে নিয়েছে। পরে ২৭৮২ নাম্বার দাগের ৪ শতক জমি অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। কি›তু ক্রেতা জমি দখল নিতে গেলে তখন ওসি ও তার ভাই তরিকুল তাদের বাধা দেয় এবং বলেন এ জমি আমাদের। আজও পর্যন্ত সেই জমি দখলে নিতে পারেনি ক্রেতা।
সুমন গাজী নামে একই গ্রামের এক ব্যক্তি জানান, ওসি আরিফ চাকুরীতে যোগদানের পর থেকে তিনি কোটি কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের মালিক হয়েছেন। তিনি ঢাকার বেড়ি বাঁধ এলাকায় চন্দ্রিমা উদ্যানে একটি বিলাশ বহুল ফ্লাট তার স্ত্রীর নামে ক্রয় করেছেন। তার কালো টাকা সাদা করার জন্য ফিরোজা মার্ট নামে একটি অলাইন শপিং এ মালামাল বিক্র করছেন।
উল্লেখ্য, ফরিদপুর ভাংগা হাইওয়ে থানা দায়িত্বে থাকাকালিন, ব্যপক চাদাবাজি, দূর্নীতির অভিযোগে স্থানীয় নসিমন করিমন ও মিনি ট্রাক থেকে মাসিক ১০ লাখ করে চাদা আদায় করতেন। জব্দকৃত অটো বিক্রি করে দিতেন গোপনে। গত ৭ এপ্রিল তার চাদাবাজি ও বদলির দাবিতে স্থানীয়রা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ সমাবেশ করে। বিক্ষোভের পর পরই পুলিশ হেড কোয়ার্টার থেকে তাকে প্রত্যাহার করে সিলেট রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়। বিএনপি পন্থী আরিফ ওসির বিরুদ্ধে তদন্ত করে চাকরীচ্যুত করার জন্য মানণীয় প্রধান মন্ত্রীর হস্থক্ষেপ কামনা করছেন গ্রামবাসীরা।