টিকিট না কিনে নগর পরিবহনে ওঠা বরদাশত করা হবে না বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেন, আমরা কিছু ব্যত্যয় লক্ষ্য করেছি। বিশেষ করে টিকিট না কেটে বাসে ওঠার প্রবণতা। সেটা কোনোভাবেই ঢাকা নগর পরিবহানে বরদাশত করা হবে না। সবাইকে টিকিট কাউন্টারের মাধ্যমে টিকিট কেটে বাসে উঠতে হবে। মঙ্গলবার দুপুরে নগর ভবনে বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির ২৬তম সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে ডিএসসিসি মেয়র ও বাস রুট রেশনালাইজেশন কমিটির সভাপতি ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস এ তথ্য জানান। এমআরটির সঙ্গে সমন্বয় করেই ঢাকা নগর পরিবহনের নতুন দুই যাত্রাপথ (২৪ ও ২৫ নম্বর যাত্রাপথ) চালু করা হবে বলে জানান তিনি। মেয়র তাপস বলেন, এরই মাঝেই এমআরটি চালু হয়েছে। তাই এমআরটির সঙ্গে সমন্বয় করে আমরা নতুন দুটি যাত্রাপথ চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। সেই প্রেক্ষিতে নতুন দুটি যাত্রাপথের ব্যাপারে আজকের (মঙ্গলবার) সভায় আমরা বিশদ আলোচনা, পর্যালোচনা করেছি। তিনি বলেন, ২২ নম্বর যাত্রাপথ যারা পরিচালনা করছেন, তাদের আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দেবো। তারা যেন গাড়িচালকের ওপর নির্ভরশীল না হয়ে আমাদের যে নিয়ম, যাত্রীছাউনি অথবা বাস-বে থেকে টিকিট কিনেই যেন যাত্রীরা বাসে ওঠেন। সে অনুযায়ী নগর পরিবহন যাত্রীদের সেবা দেবে। সেটা আজকের (মঙ্গলবার) এই সভা থেকে আমরা কঠোরভাবে নির্দেশনা দিয়েছি। নগর পরিবহনে যাত্রীসেবার মান অক্ষুণœ রাখা ও শৃঙ্খলা নিশ্চিত করতে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে জানিয়ে তাপস বলেন, আমরা এ বিষয়ে আলাপ করেছি। বিআরটিসি আমাদের নিশ্চিত করেছে- ঢাকা নগর পরিবহনের জন্য যে নির্দিষ্ট বাস, সেটা শুধু ঢাকা নগর পরিবহনের যাত্রাপথেই চলবে। এই বাসগুলো অন্যকোথাও ব্যবহার করা যাবে না। আর ট্রান্সসিলভাকে আমরা কারণ দর্শানোর জন্য নোটিশ দেবো। সেজন্য তাদের ১৫ দিন সময় দেবো। তারা যদি নির্ধারিত নীতিমালা-নিয়ম অনুযায়ী এই সেবা দিতে অপারগতা প্রকাশ করে বা ব্যর্থ হয়, তাহলে তাদের সঙ্গে আমরা চুক্তি বাতিল করবো। বিআরটিসি যদি রাজি হয় তাহলে বিকল্প হিসেবে বিআরটিসি দ্বারাই পরিচালিত হবে। অথবা নতুন উদ্যোক্তা নিয়ে আমরা এই সেবাটা পরিচালনা করবো।