নাশকতা মামলায় জামালপুরের মেলান্দহের বিএনপি’র চার নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন-আদ্রা ইউনিয়ন বিএনপি’র যুব বিষয়ক সম্পাদক তারিকুল ইসলাম রাসেল (৪০), নয়ানগর ইউনিয়ন শ্রমিক দলের সভাপতি আশরাফ মিয়া (৩৮), মাহমুদপুর ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ড বিএনপি’র সভাপতি মোহাম্মদ আলী মান্দু (৫০) এবং উপজেলা যুব দলের যুগ্ম আহ্বায়ক স¤্রাট। ১২ ফেব্রুয়ারি দিবাগত গভীর রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অফিসার ইনচার্জ দেলোয়ার হোসেন জানান-গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আগের নাশকতার মামলা আছে। ১১ ফেব্রুয়ারি দেশব্যাপী বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঝাউগড়া বাজার থেকে বিএনপি’র পথযাত্রা বের হয়ে মানকি মোড়ে পৌঁছলে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি’র মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায়ও পৃথক মামলা হয়েছে।
ঝাউগড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম আফসারী জানান-আসন্ন ২৬ ফেব্রুয়ারি আ.লীগের বর্ধিত সভার জন্য নেতা-কর্মীদের নিয়ে মানকি মোড়সহ কয়েকটি পয়েন্টে শান্তি সমাবেশ চলছিল। বিএনপি’র একটি লাঠি মিছিল মানকি মোড়ে এসে আ.লীগের শান্তি সমাবেশের দিকে অগ্রসর হচ্ছিল। এ সময় ঝাউগড়া ইউনিয়ন আ.লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম বিএনপি’র মিছিলটি অন্য পথে যাবার জন্য অনুরোধ করেন। এতে বিএনপি’র নেতা-কর্মীরা শফিউল আলমকে মারধর করলে হট্রগোলের সৃষ্টি হয়।
উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ জিন্নাহ জানান এমন ন্যাক্কারজনক ঘটনায় দলীয় সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মামলা দায়ের করতে বলা হয়েছে। ঝাউগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের শ্রম বিষয়ক সম্পাদক শফিউল আলম বাদি হয়ে ৩০/৪০জনকে আসামি করে পৃথক মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা বিএনপি’র সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল গ্রেপ্তারকৃত বিএনপি’র নেতাদের মুক্তির দাবি করে বলেন, আতঙ্ক সৃষ্টির জন্য মিথ্যা মামলা দিয়ে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। নিরপরাধ বিএনপি’র নেতাদের গ্রেপ্তার ও পুলিশি হয়রানি বন্ধের দাবি করেন।