টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে আইন শৃঙ্খলা সভায় অবৈধভাবে নদীর পাড় কেটে বালু উত্তোলন বন্ধ এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী জানিয়েছেন বক্তারা। মঙ্গলবার উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত মাসিক আইন শৃঙ্খলা সভায় বক্তারা এ দাবী জানান। তবে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হক বালু উত্তোলনকারীদের পক্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন। তিনি বলেন সাংবাদিকরা শুধু বালু উত্তোলনই চোখে দেখে অন্য কিছু দেখে না। উল্লেখ্য যে, দেলদুয়ারে বালু খেকোদের বিরুদ্ধে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন নিয়ে বিভিন্ন সময় একাধিক পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। পরে ২৪ জানুয়ারী সহকারী কমিশনার ভূমি তার জনবল নিয়ে শামছুল হক সেতুর নিচ থেকে বালু উত্তোলন বন্ধের অভিযানে বের হন। ঘটনাস্থলে পৌছার আগেই অবৈধভাবে বালু উত্তোলনকারীদের দ্বারা হামলার শিকার হয়ে আহত হন অভিযানের সদস্য ইউনিয়ন ভূমি উপ সহকারী কর্মকর্তা মো. শাহাদত হোসেন ও এসিল্যান্ড অফিসের নিরাপত্তা কর্মী মো. রাজু আহম্মেদ। এ ঘটনায় ২৫ জানুয়ারী বালু উত্তোলনের সঙ্গে জড়িত ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। ওই মামলার ১ নং আসামি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. ফজলুল হকের আপন ভাতিজা কুখ্যাত বালুখেকো মো. শাহীন ও নাতী শামীম সহ তার আরও ৯ নিকট প্রতিবেশী রয়েছে। তারা সবাই অবৈধ বালু ব্যবসায়ী সিন্ডিকেটের সদস্য। সভায় বালু উত্তোলন বন্ধের দাবী জানিয়ে বক্তব্য দেন উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান এস.এম এহসানুল হক সুমন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান হোসনেয়ারা আক্তার, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি এস প্রতাপ মুকুল, হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উপজেলা সাধারণ সম্পাদক কৃষ্ণ কান্ত দে, ডুবাইল ইউপি চেয়ারম্যান মো. ইলিয়াস মিয়া, উপজেলা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক অপু তালুকদার শিপলু, ইত্তেফাক উপজেলা সংবাদদাতা মো. আমিনুর রহমান খান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আইন শৃঙ্খলা কমিটির সভাপতি ফারহানা আলী বলেন, দেলদুয়ারের সার্বিক আইন শৃঙ্খলা ভাল। তবে ২৪ জানুয়ারীর ঘটনাটি অত্যন্ত দুঃখজনক। ইতি পূর্বেও উপজেলার দেওলী ইউনিয়নেও তৎকালিন এসিল্যান্ড তার জনবল নিয়ে অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়েছিলেন। বিষয়টি আমি যোগদানের পর জেনেছি। ওই ঘটনায় মামলাও হয়েছিল। মামলাটি এখনও চলামান। বালু উত্তোলনকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গিয়ে একই ঘটনার পুনারাবৃত্তি দুঃখজনক।