কেশবপুর উপজেলা ব্যাপী একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট চোরচক্র গড়ে উঠেছে। এই সিন্ডিকেট চোরচক্র ইতোপূর্বে ২১ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সর্বস্ব চুরি করে নিয়ে গেলেও পুলিশ অদ্যাবধি কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। ফলে তারা বেপরোয়া হয়ে একের পর এক বিদ্যালয়ে দুধর্ষ চুরি সংঘটিত করে চলেছে। গত ১১ ফেব্রুয়ারি ওই সিন্ডিকেট চোরচক্র উপজেলার মানিকপোল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১ম ও ২য় তলার কলাপসিবল গেট, অফিস রুমসহ সকল শ্রেণী কক্ষের তালা কেটে দুধর্ষ চুরির ঘটনায় এলাকায় আতঙ্ক বিরাজ করছে।
অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের ন্যায় গত ৯ ফেব্রুয়ারি বিকেলে স্কুল ছুটি শেষে সকল শিক্ষকরা যার যার বাড়িতে চলে যায়। ১২ ফেব্রুয়ারি সকালে স্কুলের পাশের আবদুল গফফার মোবাইল ফোনে প্রধান শিক্ষককে জানায়, স্কুলের ১ম ও ২য় তলার কলাপসিবল গেট, অফিস রুমসহ সকল শ্রেণী কক্ষের তালা কাটা ও খোলা অবস্থায় রয়েছে। এ খবর জানতে পেরে তিনিসহ সকল শিক্ষক স্কুলে গিয়ে দেখেন অফিস রুমের স্টীলের আলমিরা ভাঙা ও খোলা অবস্থায় রয়েছে। এছাড়া, চোরেরা সকল রুম থেকে ২১ টি সিলিং ফ্যান, ১টি হ্যামকো সোলার ব্যাটারী, ৫টি তালা, ২১টি স্টীলের পানির ট্যাব, ১টি পিতলের ঘন্টা, কাপ, প্রিচসহ যাবতীয় মালামাল চুরি করে নিয়ে গেছে। যার আনুমানিক মূল্য দেড় লক্ষাধিক টাকা। ১১ ফেব্রুয়ারি রাত ১০ টার পর থেকে ভোর রাত সাড়ে ৪ টার মধ্যে যেকোন সময় অজ্ঞাতনামা চোরেরা চুরি করে নিয়ে গেছে। এ ঘটনায় বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবদুল হালিম বাদি হয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসসহ কেশবপুর থানায় পৃথক দুটি অভিযোগপত্র দাখিল করেছেন।