করোনা টিকার ভ্যেনু কেন্দ্র সৈয়দপুর ১০০ শয্যা সরকারি হাসপাতাল। ওই কেন্দ্রে চলছে করোনার টিকা দান কর্মসুচি। মোবাইলে ম্যাসেজ দেয়া হয়েছে চতুর্থ ডোজ টিকা গ্রহণের। কিন্তু টিকা প্রত্যাশীরা ওই কেন্দ্রে গিয়ে টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। কেন্দ্রের সামনে ঝুলে দেয়া হয়েছে টিকা কার্যক্রম আপাতত বন্ধ। কারণ চাহিদা পত্র অনুযায়ী সরকারের দেয়া টিকার মজুদ ভান্ডার খালি হয়ে গেছে। এমন কথা জানালেন সৈয়দপুর উপজেলা স্বাস্থ ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আলেমুল বাসার।
তিনি জানান,গত বছরের ২২ ডিসেম্বর সৈয়দপুর ১০০ শয্যা হাসপাতাল কেন্দ্রে করোনার চতুর্থ ডোজের টিকার কার্যক্রম শুরু হয়। কিন্তু গত ৯ ফেব্রুয়ারি মজুদ টিকা শেষ হয়।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার কমিশন সৈয়দপুর উপজেলা শাখার সভাপতি ও সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল ইসলাম বলেন,যদি টিকার মজুদ শেষ হয়ে থাকে তাহলে প্রত্যাশীদের মোবাইলে কেন বার্তা দেয়া হল। কেন্দ্রে গিয়ে নারী পুরুষ টিকা না পেয়ে ফিরে যাচ্ছে। এতে তারা অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে থাকে। পাশাপাশি তাদের মুল্যবান সময় অপচয় হয়ে। সৈয়দপুর প্রেসক্লাবের সহসভাপতি এম এ করিম কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য হাজী মকসুদ আলম বলেন, টিকা মজুদ নেই এটি আবার প্রত্যাশীদের মোবাইলে বার্তা দেয়া উচিত ছিল স্বাস্থ্য কর্মকর্তার। কিন্তু তিনি তা করেননি। আমরা মনে করছি তিনি ঠিকমত দায়িত্ব পালন করেননি বা করছেন না। উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.আলেমুল বাশার আরও বলেন টিকার চাহিদাপত্র দেয়া হয়েছে। স্বল্প সময়ে আবার টিকা কার্যক্রম শুরু হবে।