ঝালকাঠির রাজাপুরের নিজামিয়ায় দিনদুপুরে একদল সন্ত্রাসী গাছ ব্যবসায়ী আওলাদকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সকাল পৌনে দশটা বড়ইয়া ইউনিয়নের নিজামিয়া বাজারে এ ঘটনা ঘটেছে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে ভর্তি করা রয়েছে।
আহত আওলাদের স্বজনরা জানায়, বুধবার সকালে চায়ের দোকানে চা খাওয়ার আওলাদ সময় সন্ত্রাসীরা অস্ত্র সয্যায় সজ্জিত হয়ে বাজার ঘেরাও করে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে মৃত্যু নিশ্চিত করে চলে যায়। স্থানীয় লোকজন আওলাদকে উদ্ধার করে প্রথমে রাজাপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। পরে অবস্থার অবনতি দেখে কর্মরত ডাক্তাররা বরিশাল শেরেবাংলা হাসপাতালে প্রেরন করে। আওলাদের মাথা, দুই হাতে, পেটে, পাসহ বিভিন্ন স্থানে কুপিয়ে জখম করায় শরীরে শতাধিক সেলাই করা হয়েছে। তার ডান হাতের হাঁড় ভেঙ্গে যাওয়ায় রাতেই জরুরী ভাবে অপারেশন করা হবে। ক্ষতবিক্ষত শরীর থেকে রক্তক্ষরনের কারণে তার অবস্থা আশংকাজনক বলে কর্তব্যরত ডাক্তার জানায়। আওলাদের স্বজনরা জানিয়েছেন, গাছ ব্যবসায়ী আওলাদের কাছে স্বন্ত্রাসীরা দীর্ঘদিন ধরে চাদাঁ দাবী করে আসছিলো। চাঁদা না দেয়ায় বড়ইয়া ইউপি চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন সরু মিয়ার পুত্র শাব্বিরের নেতৃত্বে আলমগীরের পুত্র মুন্না, হেমায়েতের পুত্র শাহিন, আবদুর রাজ্জাক শামিমের পুত্র রিমন, জয়নালের পুত্র রনিসহ একটি দল আওলাদকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। আওলাদের স্ত্রী জানায়, হামলাকারীরা ক্ষমতাশালী হওয়ায় পুরো ইউনিয়ন তাদের হাতে জিম্মি। ভয়ে এলাকার সাধারন মানুষ আতঙ্কিত হয়ে থাকে। আওলাদ সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান জাহিদুল আবেদিনের সমর্থক হওয়ায় চেয়ারম্যান সরুর কর্মীরা তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে চাঁদা চেয়ে না পেয়ে এ ভাবে কুপিয়েছ। আমি প্রশাসনের কাছে ন্যায় বিচার চাই।
এ ব্যাপারে ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি ও চেয়ারম্যান শাহাবউদ্দিন সরু মিয়া জানান, আওলাদকে যারা কুপিয়েছে মুন্নাসহ অন্যরা ওর বডিগার্ড। ওর সাথে এক সাথে আকাম-কুকাম করতো। আমার পুত্র শাওন ও শাব্বির ঘটনাস্থলে আদৌ ছিলনা। তারা থাকে বরিশালে। তবে আওলাদের নামে কোন মামলা আছে কিনা জানতে চাইলে চেয়ারম্যান সরু নেই বলে জানান। তবে রাজাপুর থানায় খোঁজ নিলে এ রিপোর্ট লেখার সময় পর্যন্ত কোন পক্ষে কোন অভিযোগ পয়নি বলে জানাগেছে। অন্যদিক বুধবার সকালে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের চিকিৎসকরা আশঙ্কাজনক অবস্থায় ঢাকা পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরন করেন।