দুর্যোগ মোকাবিলায় ১১৩টি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তনমন্ত্রী মো. শাহাব উদ্দিন। গতকাল রোববার পরিবেশ অধিদপ্তরে এক কর্মশালায় তিনি এ কথা জানান। মন্ত্রী বলেন, জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনায় বাংলাদেশকে আটটি সেক্টরের আওতায় এনে ১১টি অঞ্চলে ভাগ করা হয়েছে। এসব অঞ্চলে ১৪ ধরনের দুর্যোগ মোকাবিলায় ১১৩টি অভিযোজনমূলক একশন চিহ্নিত করা হয়েছে। এরমধ্যে ৮০টি উচ্চ অগ্রাধিকার এবং ২৩টি মাঝারি অগ্রাধিকার। অভিযোজন পরিকল্পনায় চিহ্নিত এসব কার্যক্রম ২০৫০ সালের মধ্যে বাস্তবায়ন করা হবে। এজন্য আমাদের প্রয়োজন হবে প্রায় ২৩০ বিলিয়ন ইউএস ডলার সমপরিমাণ অর্থের। তিনি আরও বলেন, ২০২২ সালের ৩১ অক্টোবর ইউএনএফসিসিতে দাখিল করা এ পরিকল্পনা শুধুমাত্র একটি জাতীয় প্রতিবেদনই নয়, বরং এটা জলবায়ু অভিযোজনের ক্ষেত্রে বিশ্ব দরবারে আমাদের অবস্থান তুলে ধরবে। সবার সম্মিলিত চেষ্টায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা করা হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, জলবায়ু পরিবর্তনের অভিঘাত মোকাবিলায় অবকাঠামোগত উন্নয়নের পাশাপাশি ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার মানুষের মাঝে অভিযোজনমূলক সক্ষমতা বৃদ্ধির ওপর আরও জোর দেওয়া হবে। বাংলাদেশে জলবায়ু সহিষ্ণু উন্নয়ন নিশ্চিতকরণে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়, সংস্থা এবং সংশ্লিষ্ট অংশীজনদের নিয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় সম্মিলিত প্রয়াস চালিয়ে যাবে। কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের সচিব ডক্টর ফারহিনা আহমেদ। বক্তব্য রাখেন মন্ত্রণালয়ের জলবায়ু পরিবর্তন অনুবিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. মনিরুজ্জামান, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডক্টর আবদুল হামিদ, বাংলাদেশ জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নুরুন নাহার হেনা এবং প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরী প্রমুখ।