জামালপুরে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২০ ফেব্রুয়ারি থেকে দনব্যপী শুরু হয়েছে একুশের গ্রন্থমেলা। জামালপুুরের জেলা প্রশাসক শ্রাবস্ত্রী রায় গ্রন্থমেলা উদ্বোধন করেন একই সাথে দীর্ঘদিন প্রতিক্ষার পর অবশেষে জামালপুরবাসীর প্রাণের দাবি পাবলিক লাইব্রেরির রুদ্ধ দোয়াড় খোলে দেয়া হয়েছে।
জামালপুর স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক সরকার আব্দুল্লাহ আল মামুন বাবুর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মাঝে বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. মোক্তার হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (আইসিটি ও শিক্ষা) মৌসুমী আক্তার, জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি সৈয়দ আতিকুর রহমান ছানা,মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সোজায়াত আলী ফকির, সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা কাজী শাহনেওয়াজ, সম্মিলিত সামাজিক আন্দোলন জেলা শাখার সভাপতি জাহাঙ্গীর সেলিম, জেলা পুস্তক ব্যবসায়ী সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোকছেদুর রহমান হারুন,সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের ছাত্রী মেহবুবা জান্নাত লিজা প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন তারিকুল ফেরদৌস ও এমআই রাসেল।
এসময় জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাগণসহ, বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা,কবি, সাহিত্যিক,সাংবাদিক, শিক্ষক, শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। গ্রন্থমেলায় মোট ১৭টি স্টল স্থান পেয়েছে। উদ্বোধনী আলোচনা সভা শেষে শিল্পীরা মনোজ্ঞ সংগীত পরিবেশন করেন।
মেলা প্রাঙ্গনে মুক্তিসংগ্রামী মতি মিয়া ফাউন্ডেশনের পরিচালক আশরাফুজ্জামান স্বাধীন বলেন বইমেলা এবং পাবলিক লাইব্রেরি পুনরায় চালু করায় আমরা ভীষণভাবে উদ্দীপ্ত হয়েছি।
মুক্তিসংগ্রাম যাদুঘরের পরিচালক হিল্লোল সরকার পাবলিক লাইব্রেরিকে আধুনিকায়ন করার দাবি জানান। তিনি বলেন এ ধরণের মেলা আমাদের চেতনাকে প্রবলভাবে শানিত করে।
এ সময় জেলা প্রশাসক শ্রাবস্তী রায় তার বক্তব্যে বলেন অনেক প্রাচীন এবং ঐতিহ্যবাহী জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরির কার্যক্রম গতিশীল করতে আমরা বদ্ধপরিকর। তিনি আরো বলেন, ভবিষতের কখনো আর্থিক সঙ্কটের কারণে পাবলিক লাইব্রেরি আর বন্ধ হবে না। প্রয়োজনে লাইব্রেরিকে আধুনিকায়ন এবং পাঠকদের স্বাচ্ছন্দের জন্য সব ধরণের ব্যবস্থা রাখতে জেলা প্রশাসন সর্বাত্মক সহযোগিতা করবে বলে আশ^াস দিয়েছেন।
উল্লেখ যে বৈশি^ক করোনা মহামারির কারণে জামালপুর পাবলিক লাইব্রেরি দীর্ঘদিন যাবত বন্ধ হয়ে যায়। এ বিষয়ে বিগত দিনে দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকাসহ বিভিন্ন যাতীয় দৈনিক পত্রিকায় স্বচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ পাওয়ায় অবশেষে বন্ধ দোয়াড় খুলে দেওয়া হয়েছে।