সৈয়দপুরে উদ্ধার করা সোনার বার আত্মসাতের চেষ্ঠায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাহীকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাকে আরও জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আদালতের মাধ্যমে রিমান্ডে নেয়া হয়েছে।
২০ ফেব্রুয়ারি আদালত ওই জামিন মন্জুর করেন বলে থানা সুত্রে জানা যায়।
১১ ফেব্রুয়ারি জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর গোপন সংবাদ পেয়ে উপজেলার কামারপুকুর নামক স্থানে ঢাকা থেকে ছেড়ে আসা নাবিল ও সাগরিকা গাড়ীতে অভিযান চালায়। এ সময় সাগরিকা গাড়ী থেকে ৫ কেজি গাঁজাসহ দুই নারীকে গ্রেপ্তার করে।
অপরপাশে নাবিল পরিবহন থেকে ১৫ টি সোনার বারসহ দুই যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়। এরপর সোনার বার ও গাঁজাসহ ৪ আসামীকে নেয়া হয় সৈয়দপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয়ে। দীর্ঘ সময় সেখানে থাকার পর ওই আসামীকে নিয়ে আসা হয় সৈয়দপুর থানায়। সেখানে উপজেলা সহকারী কমিশনার ভুমি আমিনুল ইসলাম এর উপস্থিতিতে ওই সোনার বার সোনা কি না তা পরখ করতে নেয়া হয় স্বর্ণ পট্টিতে। সেখানে জানা যায় ওই বারগুলো ২৪ ক্যারেটের আসন সোনা।
এরপর আবার নিয়ে আসা হয় থানায়। থানার নিয়ে আসার পর হঠাৎ করে আরও ৫টি সোনার বার বেরিয়ে আসে। তবে কার কাছ থেকে আবার ৫টি বার এলো তা সন্দেহাতীত। ওই সন্দেহ থেকে শুরু হয় অনেক কিছু।
এ বিষয়টি খতিয়ে দেখতে থানার ওসি সাইফুল ইসলাম মাঠে নামে। গ্রেপ্তার করে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সিপাহী মেহেদী হাসানকে। পরে ওই সিপাহীকে তোলা হয় আদালতে। আদালতে রিমান্ডের আবেদন করলে আদালত ৫ দিনের রিমান্ড মন্জুর করেন।
১১ ফেব্রুয়ারি অভিযানে নের্তৃত্ব দেন মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের জেলা পরিদর্শক শফিকুল ইসলাম। ওই অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় ঢাকা মানিকগঞ্জের গোবিন্দল, সিংগাইর থানার আবদুর রহিম (২৫) ও মোঃ মোহম্মদ উল্লাহ (২৬)। এতে বাদী হয়ে মামলা করেন ডিএনসির পরিদর্শক।
উদ্ধারের খবর গণমাধ্যমকর্মীদের জানানো হয় ১৫ টি সোনার বার। বিকেলে মামলা দায়ের করার সময়ে ২০ টি স্বর্ণের বারের কথা উল্ল্যেখ করা হয়। এখানে লাগে খটকা।
মামলার তদন্ত করতে গিয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করে সিপাই মো. মেহেদী হাসানকে গ্রেপ্তার করে সৈয়দপুর থানা পুলিশ।
২০ ফেব্রুয়ারি নীলফামারী সিনিয়ার জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে তুললে আসামীকে ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়।