আওয়ামীলীগের উপদেষ্টা পরিষদেও সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি বলেছেন, তৎকালীন পুর্ব পাকিস্তানে মুখ্য মন্ত্রী খাজা নাজিমুদ্দিন ছাত্র সমাবেশ ডেকে চুক্তি করে যে রাষ্ট্র ভাষা বাংলা হবে। বাংলা ও ঊর্ধ্ব দুটোই থাকেব। তকে যখন ভারতের মুখ্যমন্ত্রী করা হল তখন সে বোল পাল্টিয়ে বলেন যে উর্দই হবে জাতীয় ভাষা। বংঙ্গবন্ধু তখন কারাগারে বন্দি ছিলেন। তখন ছাত্রলীগ, যুবলীগ নেতাদের ডেকে আন্দোলনের ঘোষনা দেন। এবং ৩ দিন ব্যপী আন্দোলনের ঘোষনা দেওয়া হলে ২১ ফেব্রুয়ারীর প্রথম দিনেই গুলি হলে তখন আন্দোলন চুড়ান্ত রুপ নেয়। বাংঙ্গালী চেতনাকে ধ্বংশ করে একটি দ্বীজাতি ভাবধারা চালু করার জন্য চেষ্টা করে। তারা সিদ্ধান্ত নেয় ঊর্ধ্ব হবে জাতীয় ভাষা। ৫২’র আন্দোলনের স্বরুপ ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের আন্দেলনে রুপ নেয়। যার ফলশ্রুতিতে স্বাধীণতা অর্জন হয়। মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে ঝালকাঠি জেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভার প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলমের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন আমির হোসেন আমু। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান খান সাইফুল্লাহ পনির আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ২১ ফেব্রুয়ারীর প্রথম প্রহরে মহানভাষা আন্দোলনের বীর শহীদদে প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ঝালকাঠি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে মানুষের ঢল নামে। দিবসটি উপলক্ষে রাত ১২ টা ১ মিনিটে ঝালকাঠি কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে প্রথমে পুস্প স্তবক অর্পণ করেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদেও সদস্য, কেন্দ্রীয় ১৪ দলের সমন্বয়ক ও মুখপাত্র আমির হোসেন আমু এমপি। এরপর জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুম, পুলিশ সুপার আফরুজুলহক টুটুল, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান খান সাইফুল্লাহ পনির, জেলা আওয়ামীলীগ, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ পুস্প¯বক অর্পণ করেন। পরে সিভিল সার্জন, ঝালকাঠি টেলিভিশন সাংবাদিক সংস্থাসহ বিভিন্ন সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন শহীদ বেদীতে ফুল দিয়ে ভাষা শহীদদেও প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। এছাড়াও ঝালকাঠিতে মঙ্গলবার দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচির মাধ্যমে যথাযোগ্য মর্যাদায় দিবসটি উদযাপন করা হবে।
বিকেলে ঝালকাঠিতে অমর একুশে ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বিনামূল্যে ৫০০ রোগীকে চক্ষু চিকিৎসাসেবা দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল ১১টায় ঝালকাঠি কালেক্টরেট স্কুল প্রাঙ্গণে চক্ষু চিকিৎসা ক্যাম্পের উদ্বোধন করেন আমির হোসেন আমু। ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক ফারাহ্ গুল নিঝুমের সভাপতিত্ব করেন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার আফরুজুল হক টুটুল, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট খান সাইফুল্লাহ পনির,জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি সরদার মো. শাহ আলম, সিভিল সার্জন ডা. এইচ,এম জহিরুল ইসলাম। এ কর্মসূচিতে সারাদিন ৫০০ জন রোগীকে চক্ষু চিকিৎসা সেবা দেওয়া হয়। এ ছাড়া জেলা প্রশাসনের উদ্যোগে দিনব্যাপী বিনামূল্যেরক্তের গ্রুপ নির্নয় এবং রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।