নেত্রকোনাস্থ দুর্গাপুর উপজেলা খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বরাদ্দের ডিও ছাড় দিতে ডিলারদের কাছ থেকে ঘুষ গ্রহণ ও সরকারী অফিস কক্ষে বসেই ধূমপান করার অভিযোগ উঠেছে উপজেলার খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা একেএম শামস উদ্দিন’র বিরুদ্ধে। ঘুষ বাণিজ্যের কারণে চাল তুলতে হিমশিম খাচ্ছে ডিলারগণ। বুধবার(২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ঘুষ বাণিজ্যের বিষয়ে সরেজমিন ঘুরে অভিযুক্ত কর্মকর্তার কাছে জানতে চাইলে তিনি এসব অভিযোগ অস্বীকার করেণ এবং নিজ চেয়ারে বসে ধূমপান করছেন এমন একটি দৃশ্যেরও প্রমান মিলেছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার ৭টি ইউনিয়নের প্রতি ইউপি’তে ২জন করে খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল বিতরণের জন্য ১৪জন ডিলার নিয়োগ করেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ। ঐ ডিলাররা ৩০ কেজি করে চাল জনপ্রতি বছরে ৫কিস্তিতে ৭হাজার ১শ ৫৭জন উপকারভোগী খাদ্য বান্ধব কর্মসূচীর চাল পাবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়।
অনুসন্ধানে আরো জানা যায়,৬ মাস পূর্বে দুর্গাপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা হিসেবে যোগদান করেই নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। ২০২২-২৩ অর্থ বছরে উপজেলা খাদ্য গুদামে ৮শ ৯৯ টন ধান ক্রয় করার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করার কথা থাকলেও ১কেজি ধানও গুদামজাত করতে পারেননি এই কর্মকর্তা। এ বছর ৪৫ টন চাল কিনতে পেরেছেন বলে জানান। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ডিলার বলেন, খাদ্য বান্ধব কর্মসূচি ডিও নিতে ১হাজার টাকা ঘুষ দিতে হয়েছে। অন্য অফিসে আরো ১হাজার টাকা দাবী করছে। ডিলারী নিয়ে আমরা বিপাকে আছি। কয় টাকা ব্যবসা হবে। এভাবে হয়রানী বন্ধ ও প্রতিকার চান ঐ সব ডিলাররা। এ ব্যাপারে উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা এ.কে.এম শামস উদ্দিন বলেন, এক হাজার টাকা করে ঘুষ নেয়ার বিষয়টি ঠিক নয়।
অফিসে বসে ধূমপান করার বিষয়ে তিনি বলেন, আমার চাকরি আর দশ মাস আছে। মুরুব্বি মানুষ হিসেবে এটা ভুল হয়ে গেছে ক্ষমার চোখে দেখে নেয়ার অনুরোধ জানান তিনি।
অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা নেত্রকোনা জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক ইকবাল বাহার’র কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন,অফিস কক্ষে তিনি কোনভাবেই ধূমপান করতে পারেন না,এটি মারাত্বক অপরাধ। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে এ বিষয়ে অভিযুক্ত খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তার বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।