প্রকৌশলী মোঃ এন্তাজুর রহমান জন্ম গ্রহন করেন লালমনিরহাট জেলার সদর উপজেলার নিজপাড়া গ্রামে। বাবার নাম মোঃ আবদুল গফুর মাতার নাম মিসেস রাজিয়া বেগম। তাঁর লেখাপড়া শুরু হয় নিজপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে। প্রাথমিক বিদ্যালয়ে তাঁর প্রিয় স্যার ছিলেন মৃত আবদুস ছামাদ। কারণ পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র থাকাকালীন সময়ে ঐ স্যার সবাইকে ছুটি দিয়ে তাঁকে পড়াতেন। স্যারকে প্রশ্ন করেছিলেন, সবাই চলে গেল আমাকে একা পড়াচ্ছেন কেন? জানতে পারলাম স্কলারশিপের জন্য স্যার পড়াতেন। স্যার জানতেন ভালো করে পড়ালে সে বৃত্তি পাবে। সত্যি সত্যিই পঞ্চম শ্রেণির বৃত্তি পেয়ে লালমনিরহাট জেলা স্কুলে ১৯৮৪ সালে ষষ্ঠ শ্রেণিতে ভর্তি হন। মাধ্যমিক পর্যায় শেষ করে তিনি রংপুরে কারমাইকেল কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিকসমাপ্ত করে রাজশাহী বি আই টি তে ইন্জিনিয়ারিং সিভিল উত্তীর্ণ হন। লেখাপড়া শেষ করে ১৯৯৯ সালে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর ঢাকা সদর দপ্তরে সহকারী প্রকৌশলী পদে যোগদান করেন। ১ মাস পর কুড়িগ্রামের একটা প্রজেক্ট ঝঝডজউঝচ তে ১৯৯৯ থেকে ২০০৩ পর্যন্ত চাকুরি করে নাটোর এ বদলি হন। সেখানে দেড় বছর অবস্থান করে আবার কুড়িগ্রাম আসেন। ২০০৮ সাল ধরে কুড়িগ্রামে থাকার পর দিনাজপুর জেলা অফিসে বদলি হয়ে ২০১০ সাল পর্যন্ত অবস্থানের পর আত্তীকরণ হয়ে আদিতমারী উপজেলা প্রকৌশলী হিসাবে যোগদান করেন। পরবর্তীতে ২০১১ সালে পাবনা জেলার ফরিদপুরে চলে আসেন এবং ২০১২ সালের শেষের দিকে কুড়িগ্রাম জেলার ফুলবাড়ি উপজেলা থেকে রাঙামাটি বরকল উপজেলায় বদলি হন। সেখানে মাত্র আড়াই মাস কর্মস্থলে অবস্থান করে গত ০৯/০৬/২০১৩ তারিখে ভূরুঙ্গামারী উপজেলা প্রকৌশলী হিসাবে বদলি হয়ে আসেন এবং অদ্যাবধি এখানেই কর্মরত আছেন। চাকুরি জীবনে ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে সব প্রতিকূলতাকে উপেক্ষা করে বাস্তবতাকে স্বীকার করে দেশের উন্নয়নের কাজে নিজেকে উৎসর্গ করতে পেরেছেন বিধায় ১ যুগের বেশি ১৫ বছর ধরে ভূরুঙ্গামারী উপজেলায় চাকুরি করছেন। এতে স্পষ্ট যে, ভূরুঙ্গামারী উপজেলার মানুষ তাঁকে এখানে রাখতে চান। সরকারি বিধি অনেক সময় উপেক্ষিত হয়, তার প্রমাণ পাওয়া গেছে এমন ব্যক্তিত্বের নিকট। তাঁর কাজের দক্ষতায়, পরিবেশ পরিচিতি ও স্বীয় প্রচেষ্টায় অনেক দূর এগিয়েছেন; এমনকি আরও এগিয়ে যাবেন। তিনি এমন একজন উদার মানষিকতার ব্যক্তিত্ব বলেই কাউকে নিরাশ করেন না, সবার মান রাখেন। কেউ কোন কাজের কথা বললে সাধ্যমত চেষ্টা করেন। বিবাহিত জীবনে তিনি ৪ সন্তানের জনক। ২ ছেলে ২ মেয়ে। বড় ছেলে বুয়েট থেকে ২০২২ সালে ম্যাকানিকাল সমাপ্ত করে বিএসআরএম মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে প্রডাকশন ইন্জিনিয়ার পদে কাজ নিয়েছে। ২য় ছেলে মেডিকেলে চান্স পেয়ে ৩ মাস ক্লাস করার পর মেডিকেলে পড়া বাদ দিয়ে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে সি এস ই (কম্পিউটার সায়েন্স) নিয়ে লেখাপড়া করছে। ২ মেয়ের মধ্যে সপ্তম শ্রেণিতে একজন আর ছোট মেয়ে ইসলামিক ইন্টারন্যাশনাল স্কুলে প্লে-তে পড়ে। নিজের কর্মব্যস্ততার মাঝেও সন্তানদের লেখাপড়ার দিকভাল রাখার জন্য প্রকৌশলী মোঃ এন্তাজুর রহমান লালমনিরহাট বাসা থেকেই নিয়মিত অফিস করেন।