টাঙ্গাইলের দেলদয়ার উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের নরুন্দা গ্রামের মৃত-রাজ আলীর ছেলে আবুল কালাম মিয়া ভাগ্য ফেরানোর আশায় সৌদি আরব যান। ৭ বছর সফলতার সাথে কাজ করে দেশের রেমিটেন্স বৃদ্ধিতে অবদান রাখেন। গত বছরের ১৪ ডিসেম্বর সৌদি আরবের জিজান এলাকায় এক সড়ক দুর্ঘটনায় তিনি নিহত হন। নিঃশেষ হয়ে যায় এক রেমিটেন্স যোদ্ধার জীবন সংগ্রামের অধ্যায়। সেই সঙ্গে স্ত্রী ও ২ ছেলের ভবিষ্যৎ অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। লাশ দীর্ঘ আড়াই মাস ধরে সৌদি আরবের হিমাগারে পড়ে আছে। একজন রেমিটেন্স যোদ্ধার লাশ দেশে না আসায় হতাশ তার পরিবার। পারিবারিক অবস্থা অস্বচ্ছল থাকায় ব্যক্তি উদ্যোগে লাশ দেশে আনা অসম্ভব বলে জানিয়েছেন নিহতের পরিবার। লাশটি দেশে ফিরিয়ে আনার আকুতি তাদের। স্ত্রী সপ্না বেগম বলেন, আমাদের যে পারিবারিক অবস্থা তাতে আমাদের পক্ষে লাশ দেশে আনার খরচ বহন করা অসম্ভব। আমার স্বামী শুধু আমাদের জন্যেই নয় দেশের রেমিটেন্স সমৃদ্ধিতেও অবদান রেখেছেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের নিকট আকুল আবেদন আমার স্বামীর লাশ যেন আমি শেষ বারের মতো দেখতে পারি। এইচএসসি পড়-য়া বড় ছেলে মো. হাইয়ুতুল কাইয়ুমও তার বাবার লাশ শেষ বারের মতো দেখার আকুতি জানিয়েছেন।