পুলিশে চাকুরী দেয়ার নাম করে ৮ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগে অভিযুক্ত মুল নায়ক গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ আল মেহেদী রাসেলকে খুঁজছে ডিবি পুলিশ। রাসেল উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের ঈমার আলীর ছেলে ও বামনডাঙ্গা আবদুল ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক।
জানা গেছে, গত ২৭ ফেব্রুয়ারী গাইবান্ধা পুলিশ লাইনে পুলিশের কনস্টেবল পদে লোক নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় উত্তীর্ন এবং চাকুরি পাইয়ে দেয়ার কথা বলে বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা গ্রামের জাকারিয়া হোসেনের ছেলের নিকট থেকে ৫ লাখ এবং কঞ্চিবাড়ি ইউনিয়নের ময়নুল ইসলামের নিকট থেকে ৩ লাখসহ মোট আট লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় রাসেলসহ আরও চার জন। এদিকে পরীক্ষা দেয়ার পর পরীক্ষার্থীরা জানতে পারে রাসেল তাদের সাথে প্রতারণা করেছে। পরে ওই দুই যুবকের পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি তাৎক্ষনিক ভাবে গাইবান্ধা পুলিশ সুপার মোঃ কামাল হোসেনকে জানালে তিনি প্রচারক চক্রের সদস্যদের আটকের জন্য গাইবান্ধা ডিবি পুলিশকে দায়িত্ব দিলে ডিবির ওসি মোখলেছুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে অভিযান চালিয়ে ২৭ ফেব্রুয়ারী রাতেই গাইবান্ধা হতে প্রতারক চক্রের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হন। কিন্তু ওই চক্রের মুল হোতা রাসেল গা ঢাকা দেয়। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- উপজেলার সর্বানন্দ ইউনিয়নের সাহাবাজ গ্রামের শফিকুল ইসলাম, গোলাম রব্বানী, শাহ আলম ও সাজেদুল ইসলাম সাজু। এ নিয়ে উপজেলার বামনডাঙ্গা ইউনিয়নের তালুক ফলগাছা গ্রামের জাকারিয়া হোসেন বাদী হয়ে সুন্দরগঞ্জ থানায় মামলা করে। জাকারিয়া হেসেন জানান, প্রতারক চক্রটির কাছে চাকুরি জন্য মোট ১২ লাখ টাকা রফাদফা হয়। এ ছাড়া ময়নুল জানান, তার নিকট ৭ লাখ টাকা রফাদফা হয়েছিল। উপজেলা স্বেচ্ছাসেবকলীগ আহ্বায়ক এ এস এম আশেকুজ্জামান প্রামানিক তুহিন জানান, যেহেতু রাসেলের বিরুদ্ধে প্রতারণার মামলা হয়েছে, সেহেতু কেন্দ্রীয় ও জেলা কমিটির সাথে আলোচনা সাপেক্ষে তার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়া হবে। উপজেলা আওয়ামী লীগ সাধারন সম্পাদক আশরাফুল আলম সরকার লেবু জানান, যারা দলের ভাবমুর্তি ক্ষুর্ণ করে তাদেরকে দলের মধ্যে রাখা উচিত নয়। এ ব্যাপারে স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাথে পরামর্শ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে। গাইবান্ধা ডিবির ওসি মোখলেছুর রহমান জানান, রাসেলকে গ্রেপ্তারের জন্য জোর চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।