তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী অ্যাডভোকেট জুনাইদ আহমেদ পলক বলেছেন, সিংড়াতে এর আগে সংসদ সদস্য ছিলেন তারা কোন দিন আমাদের সন্তানদের কথা চিন্তা করেননি। চলনবিলের মানুষ ৩৭ বছর উন্নয়ন বঞ্চিত ছিল। কিন্তু ২০০৮ সালের নির্বাচনে নৌকার বিজয়ের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন বঞ্চিত ও অবহেলিত চলনবিলে উন্নয়নের ছোঁয়া লেগেছে। এখন পান্তা খেয়ে সিংড়ার বুকে উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে পারছে আমাদের সন্তানেরা। ফ্রিল্যান্সাররা ঘরে বসে কাজ করে স্বচ্ছল হচ্ছে। তরুণ-তরুণীদের স্বপ্ন পূরণ হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে নাটোরের সিংড়ায় ৩৪ কোটি টাকা ব্যয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের নব নির্মিত ভবনের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রতিমন্ত্রী পলক এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরো’র মহাপরিচালক শহীদুল আলম এনডিসি। উপস্থিত ছিলেন ৪০টি টিটিসি ও ০১টি আইএমটি স্থাপন প্রকল্পের যুগ্মসচিব এবং প্রকল্প পরিচালক সাইফুল হক চৌধুরী, নাটোরের জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ, পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান, পাবনা গণপূর্ত সার্কেলের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী দেবাশীষ চন্দ্র সাহা, নাটোর গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী অমিত কুমার দেব, সিংড়া পৌরসভার মেয়র জান্নাতুল ফেরদৌস, ইউএনও মাহমুদা খাতুন, টিটিসির ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ রবিউল ইসলাম, শেরকোল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ লুৎফুল হাবীব রুবেল প্রমূখ।
প্রতিমন্ত্রী পলক আরো বলেন, ৩৭ বছরে সিংড়ার ৩০ শতাংশ ঘরে বিদ্যুৎ ছিল না। কিন্তু মাত্র ১৪ বছরের শতভাগ বিদ্যুতের আলোয় আলোকিত করেছেন শেখ হাসিনা। তিনি ১০০টি প্রাইমারী স্কুল সরকারি করণ করেছেন। এই সিংড়ায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, রাস্তা-ঘাট, ব্রীজ-কালভার্ট, ফোরলেন রাস্তা, ফুটওভার ব্রীজ, কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র, আইটি ট্রেনিং সেন্টার, হাইট্রেক পার্ক সহ সকল উন্নয়ন করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।