চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে এবার একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সীতাকু- ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ৪ টি এবং আগ্রাবাদ ও বায়েজিদ ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তুলার আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ায় পাশাপাশি পানি সংকটের কারণে সন্ধ্যায় পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস।
জানা যায়, উপজেলার কুমিরা ইউনিয়নের ছোট কুমিরা এলাকায় শনিবার (১১ মার্চ ) সকাল সাড়ে ৯ টায় এস এল গ্রুপের মালিকানাধীন একটি তুলার গুদামে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। সীতাকু- ও কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ৪টি এবং আগ্রাবাদ ও বায়েজিদ থেকে ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। তবে ফায়ার সার্ভিস সন্ধ্যায় পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে পারেনি। অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কেউ হতাহত হওয়ার খবর পাওয়া যায়নি। সীতাকু- ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা নুরুল আলম দুলাল বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, কারখানার শ্রমিকেরা সকালে তুলার গোডাউনের মেরামত করতে গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে কাটিং কাজ করার সময় হঠাৎ আগুনের স্ফুলিঙ্গ তুলার উপর গিয়ে পড়লে আগুনের সূত্রপাত হয়। মুহূর্তের মধ্যে আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সময় বৃদ্ধির সাথে সাথে আগুনের ভয়াবহতা বাড়তে থাকে। তুলার আগুনে পাশের ৪টি খাবার ও চায়ের দোকান আগুন পুড়ে গেছে। এসএল গ্রুপের মালিকানাধীন ডিপুটি ইউনিটেক্স লিমিটেড কর্তৃপক্ষ ভাড়ায় নিয়েছেন। ইউনিটেক্স তাদের নিজস্ব সুতা তৈরি কারখানার জন্য বিদেশে থেকে আমদানি করা প্রচুর পরিমাণে তুলা এ ডিপুতে মজুত করে রেখেছিল। সকাল সাড়ে ৯টায় আগুনের সূত্রপাত হলেও সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত ফায়ার সার্ভিস আগুন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। তাছাড়া আগুনের সূত্রপাত সম্পর্কে কিছুই জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ। তবে এ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও আগুনে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ ব্যাপক হবে বলে আশঙ্কা করছে ফায়ার সার্ভিস। সীতাকু- ফায়ার সার্ভিসে সিনিয়র স্টেশন অফিসার নুরুল আলম দুলাল জানান, আগুন লাগার খবর পেয়ে সীতাকু- এবং কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের ৪টি ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে তাদের সাথে আগ্রাবাদ ও বায়েজিদ অফিসের আরো ৪ ইউনিট কাজে যোগ দেয়।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় ফায়ার সার্ভিসের উপপরিচালক আবদুল হামিদ বলেন, যেহেতু তুলার আগুন চারিদিকে ছড়িয়ে পড়েছে তাই এটি নিয়ন্ত্রণে আসতে সময় লাগবে। ঠিক কত সময়ের মধ্যে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা যাবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে পানির তীব্র সংকটের কথা উল্লেখ করে এই কর্মকর্তা বলেন, শুকনো মৌসুম হওয়াতে পার্শ্ববর্তী খাল শুকিয়ে গেছে এবং পাশে পুকুর বা অন্য কোন পানির উৎস না থাকাতে দূরবর্তী স্থান থেকে পানি সংগ্রহ করতে হচ্ছে। যার কারণে কাজ করতে তাদের বেগ পেতে হচ্ছে।
উল্লেখ্য গত শনিবার ৪ মার্চ সীতাকুণ্ডে অক্সিজেন প্ল্যান্টে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডে ৭ জন নিহত ও ২৭ জন আহত হয়েছিল।