পাবনার চাটমোহর উপজেলার চরনবীন লাঙ্গলমোড়া কবরস্থানের কমিটি গঠণ নিয়ে বিরোধ ও কবরস্থানের শতাধিক গাছ বিক্রি করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। দুই গ্রামের প্রায় ২০০ ব্যক্তি এ ব্যাপারে চাটমোহর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট অভিযোগ দাখিল করেছেন। এ অবস্থায় আগামী ১৯ মার্চ বর্তমান কমিটি কবরস্থানে বার্ষিক ইসলামি জালছার আয়োজন করেছে। এ নিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোপ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট দায়ের করা অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে,চরনবীন লাঙ্গলমোড়া কবরস্থানের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কবরস্থানের ১১০টি গাছ বিক্রি করে টাকা আত্মসাৎ করেছেন। কবরস্থানের ফান্ডের টাকা নিয়ম মাফিক ব্যয় না করে অনিয়ম করছেন। এমনকি কবরস্থানের প্রাচীরের নির্মাণ কাজ করে রাজমিস্ত্রিকে ২২ হাজার টাকা এখনো প্রদান করেননি। কমিটির মেয়াদ শেষ হওয়ার পর পূর্বের কমিটির সাধারণ সম্পাদকসহ অন্যরা দুই গ্রামের মানুষের মতামতের তোয়াক্কা না করে স্থানীয় ইউপি সদস্য ফজলুল হকের মাধ্যমে মাইকিং করে কিছু লোক ডেকে কমিটি করার চেষ্টা করেন। এনিয়ে বিরোধ হলে ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান তার বাড়িতে লাঙ্গলমোড়া গ্রামের কিছু ব্যক্তি ও চরনবীন গ্রামের ৫/৬ জনকে ডেকে নিয়ে একটি কমিটি করে দেন। যা দুই গ্রামের সাধারণ মানুষ জানেন না। এ কমিটি গ্রামবাসী মানতে নারাজ বলে অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। তারা দুই গ্রামের বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে সামাজিকভাবে সকলের মতামতের ভিত্তিতে কবরস্থানের কমিটি গঠণের দাবি জানান।
এদিকে বিতর্কিত কমিটি আগামী ১৯ মার্চ কবরস্থানের বার্ষিক ইসলামি জালছার আয়োজন করেছে। এনিয়ে এলাকায় চাপা ক্ষোভ ও উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত রোববার সরেজমিন চরনবীন লাঙ্গলমোড়া কবরস্থানে গিয়ে দেখা যায়,কবরস্থানের ছোট ছোট গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। এনিয়ে পরস্পর বক্তব্য পাওয়া গেছে। এক পক্ষ বলছে কমিটি কাউকে না জানিয়ে গাছ বিক্রি করেছে। অপর পক্ষ বলছে,কমিটির রেজুলেশন করে গ্রামবাসীকে জানিয়ে গাছ বিক্রি করে টাকা ফান্ডে রেখেছে। এ বিষয়ে বর্তমান কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশরাফুল ইসলাম রশিদ জানান,যে সকল অভিযোগ করা হয়েছে তা মোটেও সত্য নয়। গাছ বিক্রিসহ সব কিছু নিয়মতান্ত্রিকভাবে করা হয়েছে। গ্রামবাসীর সাথে আলোচনা সাপেক্ষে রেজুলেশন করে গাছ বিক্রি করা হয়েছে। এখানে আর্থিক কোন অনিয়ম করা হয়নি। যে কোন সময় হিসাব-নিকাশ উপস্থাপন করা হবে। এ ব্যাপারে ছাইকোলা ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ নুরুজ্জামান নুরু বলেন,আমি সমাধানের লক্ষ্যে একটা কমিটি করে দিয়েছি। ইউএনও স্যারও জানেন। এখন এ নিয়ে একপক্ষ বিরোধ করছে। আসলে এটা স্বার্থের বিষয় মনে হচ্ছে। শুনেছি এক পক্ষ ইউএনও স্যারের কাছে অভিযোগ করেছে।