বগুড়ার শেরপুরের সাব-রেজিষ্ট্রি অফিসের দলিল লেখক সমিতির কমিটি ঘোষনা করায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশের পর ওই কমিটিকে স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতারা অবৈধ আখ্যায়িত করে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবী জানিয়ে ১৪ মার্চ মঙ্গলবার রাতে এক বিবৃতি দিয়েছে। ওই সমিতিতে এসএম ফেরদৌসকে সভাপতি ও জামাল উদ্দিনকে সাধারণ সম্পাদক করে কমিটি ঘোষণা দেয়া হয়।
ঘোষণার কয়েক ঘন্টা পরেই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেরপুর উপজেলা শাখা ও শেরপুর পৌর শাখার সভাপতি-সম্পাদকের নাম দিয়ে ওই কমিটিকে অবৈধ আখ্যায়িত করে বিবৃতি দেন। শেরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রবিউল হাসান বাবু স্বাক্ষরিত বিবৃতিতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এ্যাড. গোলাম ফারুক ও সাধারণ সম্পাদক সুলতান মাহমুদ বলেছেন, ১৪ মার্চ মঙ্গলবার শেরপুর দলিল লেখক সমিতির নামে একটি কমিটি ফেসবুকে প্রচার করা হয়েছে। যা সম্পুর্ণ অবৈধ ও বে-আইনীভাবে গঠন করা হয়েছে। মূলত এই সমিতির আইনগত কোন বৈধতা নেই। ওই কমিটি গঠন করে সাধারণ মানুষের উপর জুলুম করে সরকার নির্ধারিত ফি এর অতিরিক্ত টাকা আদায় করে দলিল লেখক সমিতির নামে লুটপাটের অপচেষ্টার কৌশলমাত্র।
এতে আরো বলা হয়, ওই সমিতির নামে সরকার নির্ধারিত ফি’র অতিরিক্ত টাকা জনগনের নিকট থেকে জোরপুর্বক আদায় চাঁদাবাজের অপরাধ বলে গণ্য হবে। এ বিষয়ে শেরপুরের সর্বস্তরের জনসাধারণকে সজাগ থাকার জন্য অনুরোধ করা হলো।
অপরদিকে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ শেরপুর পৌর শাখার দপ্তর সম্পাদক মো. আবদুল কুদ্দুস স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ সারওয়ার রহমান মিন্টু ও সাধারণ সম্পাদক মো. গোলাম হোসেনও ওই কমিটিকে অবৈধ ও বে-আইনী বলে অভিহিত করেছেন। নব-গঠিত সমিতির সভাপতি এস এম ফেরদৌস বলেন, উভয় পক্ষ মিলিত হয়ে এই কমিটি করেছে, এর মধ্যেই আওয়ামী লীগের ২৮ জন।