লক্ষ্মীপুরে ৭ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে আমির হোসেন নবির (৫৭) নামে এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) রাতে অভিযুক্তের নামে চন্দ্রগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন শিশুটির মা। আমির হোসেন নবি সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের যাদৈয়া গ্রামের মৃত গণি মিয়ার ছেলে। ঘটনার পর থেকে তিনি পলাতক রয়েছেন জানিয়েছেন পুলিশ।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও চন্দ্রগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মঈন উদ্দিন বলেন, ভিকটিমের মা বাদী হয়ে আমির হোসেন নবির বিরুদ্ধে মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে থানায় মামলা দায়ের করেছেন। এরপর বুধবার (১৫ মার্চ) দুপুরে ভিকটিমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য আনা হয়েছে। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) আনোয়ার হোসেন বলেন, ভিকটিমকে পরীক্ষা করা হয়েছে। প্রতিবেদন আসলে নিশ্চিত হওয়া যাবে। ভিকটিমের মা বলেন, তার মেয়ে স্থানীয় দুর্গারামপুর দিঘীরপাড় নূরানী মাদ্রাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী। ৫৭ বছরের নবী তাদের প্রতিবেশী। তার মেয়েকে নবী যা করেছে তার জন্য উপযুক্ত শাস্তি দাবি করছেন তিনি। এ ঘটনা বলার পর থেকেই কান্নায় ভেঙে পড়েন ভিকটিমের মা।
পুলিশ ও মামলার এজাহারে বলা হয়, গত ৮ মার্চ দুপুরে ভিকটিম বাড়ির পাশের তালিমুল কোরআন মাদ্রাসার মাঠে অন্যান্যের সঙ্গে খেলছিল। তখন নবি শিশুটির হাত ধরে মাদ্রাসার শৌচাগারে নিয়ে দরজা বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে অভিযুক্ত তাকে ধর্ষণ করে। পরে বাড়ি চলে গেলেও ধর্ষণের কারণে ব্যথা-যন্ত্রণায় কাতরাচ্ছিল শিশুটি। তবে সাধারণ ঘটনা মনে করে পরিবারের লোকজন স্থানীয়ভাবে তাকে চিকিৎসা করায়। কিন্তু ব্যথা-যন্ত্রণা না কমায় মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) পরিবারের লোকজন তাকে জিজ্ঞাসা করলে শিশুটি তার সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনা পরিবারকে জানায়। পরে তার মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন। আমির হোসেন নবির নিকট আত্মীয় বলেন,অন্যায়ভাবে আমিরকে ফাঁসিয়ে মামলা দিয়েছে। এজহারের সম্পূর্ণ সাজিয়ে লেখা হয়েছে। মামলাটি তদন্ত করলে প্রকৃত ঘটনা উৎঘাটন হবে।
ওসি মো. তহিদুল ইসলাম বলেন, ৭ বছরের এক মাদ্রাসাছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে প্রতিবেশি আমির হোসেন নবির বিরুদ্ধে থানায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা করেছেন। পুলিশ ভিকটিমকে উদ্ধার করে মেডিকেল পরীক্ষা সম্পূর্ণ হয়। মেডিকেল রির্পোটসহ মামলা তদন্ত চলছে। আসামি পলাতক রয়েছেন গ্রেপ্তারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।