বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, কে এমপি হবেন এটা বড় কথা নয়, আগে আসুন তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে আসি। আগে আসুন কর্তৃত্ববাদী সরকারকে কিভাবে বিদায় করা যায়। দিনের ভোট রাতে নির্বাচন করে মানুষের ঘাড়ে চেপে বসে আছে এ ফ্যাসিষ্ট সরকার। আগে তাদেরকে বিদায়ের প্রস্তুতি নিতে হবে। অঙ্গিকার করতে হবে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামলীগ সরকারের অধীনে বিএনপি কোন নির্বাচনে যাবে না। বিএনপি আওয়ামলীগের ধোকাবাজি বুঝে ফেলেছে। আর তাদের ধোকাবাজিতে বিএনপি পা দিবে না। আগামী নির্বাচন হবে নির্দলীয় সরকারের অধীনে। রাতের সরকারের অধীনে কোন নির্বাচনে বিএনপি যাবে না।
তিনি আরও বলেন, গত ২০১৮ সালে সংসদ নির্বাচনে নোয়াখালীর গর্বিত সন্তান, যার স্মরণ সভায় আমরা এখানে দাঁড়িয়েছি, সেই প্রিয় নেতা ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদকে একটা দিনের জন্য বাড়ি থেকে বের হতে দেননি এ সরকার। এমনকি গাড়ির গ্লাস নামিয়ে জনগণের সাথে কথা বলতে দেননি। আমাদেরকে অতীত থেকে শিক্ষা নিতে হবে, এ সরকারের ভাওতাবাজিতে আমরা আর পা দিবনা। এমনকি তাদের অধীনে নির্বাচনে যাব না।
তিনি বৃহস্পতিবার সকাল ১১ টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার সিরাজপুর ইউনিয়নের মানিকপুর গ্রামে ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদের ২য় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত স্মরণসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। জাতীয় পার্টির সাবেক এমপি বেগম হাসনা জসিম উদ্দিন মওদুদের সভাপতিত্বে ও কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য সচিব মাহমুদুর রহমান রিপনের সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা ও সাবেক বিরোধীদলীয় চীফ হুইপ জয়নুল আবেদিন ফারুক, বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ফোরকান-ই-আলম, সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের কেন্দ্রীয় নেতা ও ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার মোঃ হানিফ প্রমুখ।
ড. মঈন খান নোয়াখালীবাসী ও নোয়াখালী বিএনপির নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে করে বলেন, কোন পদের জন্য নয়, এমপির জন্য নয়, আসুন আমার ভোট আমি দিব। এ অধিকার প্রতিষ্ঠিত করার জন্য আমাদের শপথ নিতে হবে। আপনাদের বুকে হাত দিয়ে বলতে হবে, আমার নেত্রীকে মুক্ত করতে হবে, তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনতে হবে এবং এ স্বৈরাচারী সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করতে হবে। তাহলে আজকের স্মরণ সভা সফল হবে এবং মওদুদ আহমদের আত্মা শান্তি পাবে।