ভোলা-চরফ্যাশন সড়কে বাস অটোরিকশা মূখোমূখি সংঘর্সে কলেজের ২ শিক্ষার্থীসহ ৪ জন নিহত হয়েছে বলে জানাগেছে। শুক্রবার সকালে দৌলতখান উপজেলার জয়নগর ইউপির ওতরদ্দি নামক স্থানে মর্মান্তিক এ সড়ক দূর্ঘটনাটি ঘটে। নিহতরা হলেন, দৌলতখান উপজেলার উত্তর জয়নগর ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের কয়সর মাতাব্বরের কলেজ পড়ুয়া মেয়ে রিমা (১৭), জাহাঙ্গীরের মেয়ে শিখা (১৭), একই এলাকার বাসিন্দা মো. কালাম (৫৫)। নিহত রিমা ও শিখা দৌলতখান উপজেলার হালিমা খাতুন মহিলা কলেজের দ্বাদশ দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী। নিহত আবুল কালাম বাংলাবাজারের ব্যবসায়ী। অটোরিকশা চালক আবদুল কাদের (৪০) গুরুতর আহত হয়েছেন। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয়। নিহত শিক্ষার্থীরা দৌলতখান বাংবাজার হালিমা খাতুন কলেজের এইচএসসি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী। তাদের বাড়ি ওই এলাকায়। ওই দুই কলেজছাত্রী জাতীয় শিশু দিবস ও বঙ্গবন্ধুর জন্ম পালনে সকাল সাড়ে নয়টার দিকে কলেজে যাচ্ছিল। প্রত্যক্ষদর্শিরা জানায়, ব্যাটারি চালিত অটোরিকসা চালক আবদুল কাদের যাত্রী নিয়ে বাংলাবাজার যাচ্ছিলেন। অপর দিকে ভোলা থেকে চরফ্যাশনগামী চট্টগ্রামের শ্যামলী নামক একটি দ্রুতগামী বাস অটোরিকশাটিকে সামনের দিক থেকে এসে চাপা দেয়। বাস-অটোরিকসা মুখোমুখি সংঘর্ষে বাসের সজোড়ে ধাক্কায় মূহুর্তের মধ্যে অটোরিকশাটি দুমড়েমুচরে যায়। এ সময় বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলেই দুই কলেজ শিক্ষার্থীসহ ৩ জন নিহত হন। স্থানীয়রা অটোরিকসা চালককে উদ্ধার করে বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পথে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে। ঘটনার পরপরই স্থানিয়রা ও সংবাদ পেয়ে নিহত পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। এ সময় নিহত স্বজনদের আহাজারিতে ওই এলাকার বাতাস ভারী হয়ে উঠে। সংবাদ পেয়ে পুলিশ সুপার মো. মো. সাইফুল ইসলাম ও দৌলতখান থানা ভারপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা মোঃ জাকির হোসেন ঘটনাস্থল পরির্দশন করেন। নিহত শিক্ষার্থীদের পরিবাররা জানায়, আজ ১৭ মার্চ জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর জন্মবার্ষিকীর অনুষ্ঠান উদযাপনের জন্য ওই দুই শিক্ষার্থী অটোরিকশা ভাড়া করে কলেজে যাচ্ছিলো। ঘটনার পর পরই দূর্ঘটনাস্থলে স্থানীয় কয়েক শত লোক রাস্তায় গাছ ফেলে অবরোধ করে বিচারের দাবীতে বিক্ষোভ করে। দৌলতখান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছ। পুলিশ সুপার মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন, ঘটনার আইনি ব্যবস্থা নেয়া হবে।