নোয়াখালীর সেনবাগ থানা পুলিশ ফৌজিয়া সুলতানা আরশী প্রকাশ প্রিয় (২২) নামের এক সন্তানের জননী এক গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছে। শুক্রবার রাত ৯টারদিকে থানার এসআই তানভিরের নেতৃত্বে সঙ্গীয় পুলিশ ফোর্স উপজেলার কাবিলপুর ইউনিয়নের আজিজপুর গ্রামের আবদুল মন্নান খানের বাড়ি থেকে ওই গৃহবধূর ঝুলন্ত লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। এবং শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে মর্গে প্রেরণ করে। নিহত আরশীর জামিমা আক্তার আরোহী নামেন দেড় নৎবছরের একটি কন্যাসন্তান রয়েছে।
নিহত গৃহবধূ সেনবাগ উপজেলার ৮নং বীজবাগ ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ড ধর্মপুর গ্রামের শরিয়ত উল্লাহ মাস্টার বাড়ির নুর আলম মিন্টুর মেয়ে ও আজিজপুর গ্রামের আবদুল মন্নান খানের বাড়ির সাদ্দাম হোসেন খানের স্ত্রী। এ ঘটনায় নিহতের মা ফাতেমা আক্তার বাদি হযে তার কন্যাকে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে স্বামী সাদ্দাম হোসেন খান(৪০) শ্বাশুড়ী তাকিয়া খাতুন(৬০) জা তাসলিমা আরক্তার(৩৬) রাহেলা আক্তার (৩৫) ও সতিন রিমা আক্তারবে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে।
নিহত মা ফাতেমা লিখিত অভিযোগে জানান, তার মেয়ের জামাই সাদ্দাম হোসেন তার খালাতো বোন রিমা আক্তারকে ৩বছর আগে তালাক দিলে পারিবারিক ভাবে তার মেয়ের সঙ্গে বিবাহ হয়। কিন্তু মেয়ের জামাই সাদ্দাম হোসেন খান ফের গোপনে ডিভোসী স্ত্রী খালাতো বোনকে বিবাহ করে ওই সংসারে সম্প্রতি একটি বাচ্চাও জন্ম নেয়। বিষয়টি জানতে পেরে তার তার মেয়ে আরশী দুইদিন আগে ঢাকায় তার স্বামী সাথে দেখা করতে যায়। কিন্তু সে দেখা না পালিয়ে যায়। পরে শুক্রবার বিকেলে আরশী ঢাকা থেকে স্বামীর বাড়িতে আসলে শ্বাশুড়ী ও জা নিয়ে তাকে বকাঝকা করে ও গলায় ফাঁসি দিয়ে আত্মহত্যা করার জন্য প্ররোচনা দেয়। বিষয়টি তার মেয়ে মোবাইল ফোনে জানিয় তাকে দ্রুত পিতার বাড়িতে নিয়ে যাবার জন্য বলে। ওই ফোন পাওয়ার পর তারা ঘটনাস্থলে এসে দেখেন তার মেয়ের শয়ন কক্ষের দরজা ভাঙ্গা ও তার গলায় ওড়না পেচানো লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলছে।
এব্যাপারে নিহতের শ্বাশুড়ী তাকিয়া খাতুন জানান,তার ছেলের বৌ আরশী বেগম সন্ধ্যায় পিতার বাড়ি থেকে আসে এরপর সে ঘরের দরজা বন্ধ করে দিয়ে ফাঁসি দেয়।
এঘটনায় নিহতের মা ফাতেমা আক্তার বাদি হয়ে তার কন্যাকে হত্যার প্ররোচনার অভিযোগে নিহতের স্বামী সাদ্দাম হোসেন খান (৪০) শ্বাশুড়ী তাকিয়া খাতুন(৬০) জা তাসলিমা আরক্তার(৩৬) রাহেলা আক্তার (৩৫) ও সতিন রিমা আক্তার সহ ৫জনকে অভিযুক্ত করে মামলা দায়ের করেছে।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করলে সেনবাগ থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) ইকবাল হোসেন পাটোয়ারী লাশ উদ্ধারে বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় থানায় হত্যার প্ররোচনার মামলা দায়ের করা হয়েছে।