বরিশাল জেলার আগৈলঝাড়া উপজেলর রাজিহার ইউনিয়নের মাগুরা ষ্ট্রীল ব্রীজ থেকে ভালুকশী বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দু-পাশের বিভিন্ন প্রজাতীর প্রায় শতাধিক গাছ ছয়দিন ধরে কেঁটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয় কতিপয় প্রভাশালীরা। সড়কের গাছ কেঁটে নেওয়াতে পরিবেসের ভারসম্ভ হারিয়ে উজার হচ্ছে বন সম্পদ। বনবিভাগের কর্মকর্তা একাধিকবার ঘটনাস্থলে গেলেও কোন গাছ জব্দ করেননি। গাছ কাঁটার সাথে বনবিভাগের কর্মকর্তা যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এভাবে সড়কের গাছ কেটে নেওয়ায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের মাগুরা ষ্ট্রীল ব্রীজ থেকে ভালুকশী বাজার পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার সড়কের দু-পাশের রেন্ট্রি, মেহগনি, চাম্বল ও শিশুকাঠসহ বিভিন্ন প্রজাতির প্রায় ৫ লক্ষাধীক টাকার শতাধিক গাছ ছয়দিন ধরে কেঁটে নিয়ে যাচ্ছে স্থানীয়রা কতিপয় প্রভাবশালী রফিক হাওলাদার, রুহুল ফকির, মিরাজ হাওলাদার, আনিচুর ফকিরসহ ১০-১৫জন। উপজেলা ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা স্বপন অধিকারী ৩-৪ বার সরেজমিনে গিয়ে কাঁটা গাছ জব্দ না করে স্থানীয় ইউপি সদস্য অলী ফকিরের সাথে কথা বলে অজ্ঞাত কারণে চলে আসেন। ওই গাছ কাঁটার সাথে স্থানীয়রা ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য অলী ফকিরের সহযোগীতায় রয়েছে বলে স্থানীয়দের ধারনা। এ ব্যাপারে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য অলী ফকির সাংবাদিকদের বলেন, আমি ওই গাছ কাটার সাথে জড়িত নাই। আমরা শনিবার থেকে গাছ বন্ধ করে দিয়েছি। এ ব্যাপারে উপজেলার ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা স্বপন অধিকারী বলেন, আমি ঘটনাস্থলে ৩-৪ বার গিয়ে গাছ কাঁটা বন্ধ করে আসি। আমি চলে আসলে আমার কথা না সুনে গাছ কেঁটে নেয়। এ ব্যাপারে রাজিহার ইউনিয় পরিষদ চেয়ারম্যান মো.ইলিয়াস তালুকদার বলেন, আমার কাছে বন কর্মকর্তা জানানোর পরে আমি তাকে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলেছি।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো.সাখাওয়াত হোসেন বলেন, উপজেলা ভারপ্রাপ্ত বন কর্মকর্তা স্বপন অধিকারীর কাছ থেকে জেনে অপরাধিদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযুক্ত রুহুল ফকির, মিরাজ হাওলাদার, আনিচুর ফকির রফিক হাওলাদার সাংবাদিকদের বলেন, আমরা গাছ কেটেছি এটা সত্য। আমাদের জায়গায় লাগানো গাছ আমরা কেটে নিয়েছি। স্থানীয় ইউপি সদস্য অলী ফকির এসে কাঁটা গাছ দেখে গেছেন।