বিএনপি নেতাকর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ সরকারের নির্যাতন-নিপীড়ন যত বাড়বে প্রতিবাদের ঝড়ের গতি তত তীব্র হবে বলে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, কর্তৃত্ববাদী সরকার এখন বুঝে গেছে, তাদের আয়ুষ্কাল ফুরিয়ে এসেছে। এ কারণে সরকার এখন বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মীদের মরণকামড় দিতে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। গ্রেপ্তার নেতারা সরকারের রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার বলে তাদের অন্যায়ভাবে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার এক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, দেশের মানুষ যখন গ্যাস-বিদ্যুৎ-পানিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতিতে দিশেহারা তখন বর্বর ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বিচারে বিএনপিসহ বিরোধীদলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষকে মামলা, হামলা, গ্রেপ্তার, রিমান্ডে নিয়ে অমানুষিক নির্যাতন ও কারান্তরীণ করা অব্যাহত রেখেছে। দেশের মানুষকে ব্যক্তিগত কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানেও বাধা দেওয়া হচ্ছে। তিনি বলেন, নেত্রকোনাসহ দেশব্যাপী বিএনপি নেতাকর্মীদের বাড়িতে প্রতিনিয়ত তল্লাশির নামে তাদের হয়রানি করা হচ্ছে। অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে- দেশটা এখন আওয়ামী লীগের পৈত্রিক সম্পত্তি। বর্তমান শাসকগোষ্ঠী দেশকে বিরোধীদলশূন্য করে নিজেদের একচ্ছত্র শাসন দীর্ঘায়িত করার গভীর চক্রান্তে লিপ্ত। মির্জা ফখরুল বলেন, বিএনপি দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় বৃহত্তম রাজনৈতিক দল। এই দলটিকে ধ্বংস করে দেশে এক ব্যক্তির শাসন কায়েম করতেই বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতাকর্মীকে কারারুদ্ধ করার মাধ্যমে লক্ষ্য বাস্তবায়নে নিরন্তর অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে। বিবৃতিতে মুন্সীগঞ্জ জেলাধীন সাবেক শ্রীনগর উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ মমিন আলী, জেলা বিএনপির সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল কুদ্দুস ধীরেন, শ্রীনগর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান সেলিম, বিএনপি নেতা জসিম উদ্দিন, দেলোয়ার হোসেন ও আনসার আলী, আওলাদ হোসেনসহ ৫৩ জনকে ঢাকায় একটি সামাজিক অনুষ্ঠান থেকে এবং নেত্রকোনা জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক মনিরুজ্জামান দুদু, সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আয়নাল হককে বাড়ি থেকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান বিএনপি মহাসচিব। বিএনপি মহাসচিব বিবৃতিতে অবিলম্বে গ্রেপ্তার উল্লিখিত নেতাদের বিরুদ্ধে দায়ের করা মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার এবং তাদের নিঃশর্ত মুক্তির জোর দাবি জানান।