মৌলভীবাজার জেলার জুড়ীতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপহারের সেমি পাকা ঘর পাচ্ছেন আরো ১৯২ ভূমি ও গৃহহীন পরিবার। আগামী বুধবার ২২ মার্চ উপকারভোগী পরিবারের মধ্যে ১১৭ টি পরিবারের নিকট গৃহসমুহ হস্তান্তর কার্যক্রমের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। উপজেলা প্রশাসন ইতোমধ্যে এসব ঘরের জমির দলিল ও গৃহ হস্তান্তরের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে। সোমবার (২১মার্চ) বিকেলে জুড়ী পরিষদ সভাকক্ষে উপজেলা প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকদের সাথে এক প্রেস ব্রিফিং কালে উপজেলা নির্বাহী অফিসার রঞ্জন চন্দ্র দে এই তথ্য জানান। তিনি আরো বলেন, "অন্তর্ভুক্তিমুলক উন্নয়নের শেখ হাসিনা মডেল" পৃথিবীর আর কোন দেশে নেই। আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শিতার কারণেই সারা বাংলাদেশে ভূমিহীনদের ঘর তৈরি করে দেওয়া হচ্ছে। ২২ মার্চ চতুর্থ ধাপে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এক যুগে সারাদেশে ভূমিহীনদের প্রায় চল্লিশ হাজার ঘরের চাবি হস্তান্তর করবেন। সরকারের উন্নয়নের এ কর্মকা-কে তুলে ধরার জন্য গণমাধ্যম কর্মীদের সহযোগিতা কামনা করেন। প্রেস ব্রিফিং কালে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো, মনসুর আলী, ইপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রতন কুমার অধিকারী।
আলোচনায় সাংবাদিকদের মধ্যে অংশ নেন, দৈনিক প্রথম আলো প্রতিনিধি কল্যাণ প্রসূন চম্পু,মানব ঠিকানার সিনিয়র স্টাফ রিপোর্টার হারিস মোহাম্মদ, দৈনিক ইনকিলাব প্রতিনিধি তাজুল ইসলাম, দৈনিক সংগ্রাম প্রতিনিধি এম এম সামছুল ইসলাম, দৈনিক ইত্তেফাক প্রতিনিধ কামরুল হাসান নোমান, দৈনিক সমকাল প্রতিনিধি বেলাল হোসাইন, দৈনিক আনন্দবাজার প্রতিনিধি জহিরুল ইসলাম সরকার, দৈনিক নয়াদিগন্ত প্রতিনিধি এবিএম নুরুল হক,দৈনিক কালবেলা প্রতিনিধি আদনান চৌধুরী প্রমুখ।
জানা গেছে, জুড়ী উপজেলায় সর্বশেষ হাল নাগাদকৃত ক-শ্রেণির ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবার সংখ্যা ৪৭৩টি। ১ম, ২য় ও ৩য় পর্যায় মোট ২৮১ টি গৃহহীন পরিবারকে ইতোমধ্যে পাকাঘর ও ভূমির কাগজ প্রদান করা হয়েছে। আগামী ২২ মার্চ প্রকল্পের ৪র্থ পর্যায়ে নির্মিত ১৯২টি'র মধ্যে ১১৭টি পাকাঘর উপকারভোগী পরিবারকে হস্তান্তর করা হবে। প্রতিটি গৃহ নির্মাণে সরকারের ব্যয় হয়েছে ২ লাখ ৮৪ হাজার ৫শ’ টাকা।