ময়মনসিংহের ধোবাউড়ায় মাদরাসা পড়ুয়া এক শিশুকে গণধর্ষণের পর হত্যা ও নগরীতে রেস্ট হাউজে এক তরুনীর গলাকেটে হত্যা মামলায় এক কিশোরসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার ডিবি পুলিশের একটি দল সীমান্তবর্তী ধোবাউড়া ও কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ মুন্সিগঞ্জ থেকে তাদের গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলো- উপজেলার কলসিন্দুর গ্রামের ইস্রাফিল আলীর ছেলে ইউসুফ আলী (২০) ও নাম প্রকাশ না করা এক কিশোর। গলা কেটে হত্যার অভিযুগে গ্রেপ্তার করা হয় মুন্সিগঞ্জের গজারিয়ার রাকিবুল ইসলাম (২৩) কে।
মঙ্গলবার দুপুরে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান পুলিশ সুপার মাছুম আহমেদ ভুঞা। পুলিশ সুপার জানায়, গত ১৮ মার্চ ধোবাউড়ার কলসিন্দুর গ্রামের মাদরাসা পড়ুয়া এক শিশুকে (১১) বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে নেতাই নদীর তীরে একটি কলা বাগানে গণধর্ষণ করে একটি চক্র। ধর্ষণ শেষে গলায় উড়না পেচিয়ে শিশুটিকে শ^াসরোধ করে হত্যা করে মরদেহ নদীতে ভাসিয়ে দেয়। ঘটনার পরদিন শিুটির বাবা ধোবাউড়া থানায় একটি মামলা করলে পুলিশ দুজনকে গ্রেপ্তার করে।
অপরদিকে একই দিনে নগরীর একটি রেস্ট হাউজ থেকে অজ্ঞাত এক তরুনীর গলাকাটা মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় অভিযুক্ত রাকিবুল ইসলামকে (২৩) মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে গেপ্তার করেছে কোতোয়ালী মডেল থানার পুলিশ। পুলিশ সুপার জানায়, অভিযুক্ত রাকিবুল তাকে সঙ্গ দেয়ার জন্য মিরপুর থেকে ৫ হাজার টাকার বিনিময়ে অজ্ঞাত তরুনীকে ভাড়া করে ময়মনসিংহে নিয়ে আসে। পরে ময়মনসিংহের ছোট বাজার এলাকায় নিরালা রেস্ট হাউজ নামে একটি আবাসিক হোটেলে উঠে। হোটেলে উঠার পর ওই তরুনীকে ৫ হাজার টাকার স্থলে ১ হাজার টাকা দিলে চাইলে তাদের মধ্যে বিরোধ বাঁধে। এক পর্যায়ে রাকিবুল হোটেলে নিচে নেমে এসে ১শ টাকায় একটি ছুড়ি ক্রয় করে। হোটেলে গিয়ে তরুনীকে জবাই করে হত্যা করে রুমে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়। পরে সিসি টিভির ফুটেজ ও মোবাইল ট্রেকিং এর প্রযুক্তি ব্যবহার করে রাকিবুলকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।