নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার নির্বাহী অফিসার এর কার্যালয়ের সি.এ বাবন রায় এর বিরুদ্ধে দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। গত ৭/০৩/২৩ইং তারিখে উপজেলার বড়শালজান একতা মৎসজীবি সমবায় সমিতি লিঃ কমিটির সম্পাদকের স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ দেন জেলা প্রশাসক বরাবরে। অভিযোগে জানা যায়, জলমহাল ব্যবস্থাপনা নীতিমালা ২০০৯ এর বিধান মোতাবেক বিগত ১৬/০২/২৩ইং তারিখের ১৪৩০-১৪৩২ বাংলা টেন্ডারে "কয়রা উব্দাখালী" জলমহালের ডাকে অংশগ্রহণের জন্য যথানিয়মে প্রত্যয়পত্র পাওয়ার নিমিত্ত আবেদন দাখিল করলে এবং ইচ্ছেকৃতভাবে জলমহালটিতে অন্য একটি সমিতিকে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে ইজারা দেয়ার লক্ষ্যে নিম্ন স্বাক্ষরকারী সমিতিকে প্রত্যয়নের অজুহাতে বাদ দিলে সমিতি সংক্ষুব্ধ হয়ে সহকারী জজ কলমাকান্দা ৭০/২৩নং অন্য প্রকার মোকদ্দমা দায়ের করিলে উক্ত আবেদনের ১০ দিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশ প্রদান করেন। উল্লেখিত নোটিশের কারণে সি.এ বাবন রায়, সমিতির সম্পাদক গ্রামীণ চৌকিদার ধীরেন্দ্র চন্দ্র দাসকে মামলা প্রত্যাহারের হুমকি দেন, যদি মামলা প্রত্যাহার না করেন তবে তোমার চৌকিদারের চাকুরী বাতিল করা হবে। শুধু হুমকি দিয়েই থেমে থাকেননি, এলাকার কিছু সংখ্যক সন্ত্রাসী প্রকৃতির লোক দিয়ে বিভিন্ন ভাবে প্রাণ নাশের হুমকিও দিয়ে যাচ্ছে তিনি, এবং সমিতির নিবন্ধন বাতিল করে দিবে বলেও হুমকি অব্যাহত রেখেছেন। এমন অবস্থায় গ্রাম্য চৌকিদার বীরেন্দ্র চন্দ্র দাস সমতির সম্পাদক নিরুপায় হয়ে সম্পাদকের পদ দায়িত্ব হতে অব্যহতি নেন এবং তার দায়িত্ব সমিতির সভাপতি নিপেন্দ্র চন্দ্র দাসের নিকট এফিডেফিটের মাধ্যমে হস্তান্তর করেন। উক্ত সমিতির সদস্যগণের সাথে কথা হলে তারা জানান, আমরা কর্মকরে মৎসজীবি হিসাবে মাছ ধরে বাজারে বিক্রয় করে জীবিকা নির্বাহ করে যাচ্ছি, সমিতির ২৩ জন সদস্যই আমরা মৎসজীবি কার্ডধারী জেলে, বিগত দিনে উক্ত সমিতি দিয়েই কয়রা উব্দাখালী জলমহালটি আমরা মৎস আহরণ করে জীবিকা নির্বাহ করে আসছি, এখন বাবন রায় বলেন আমাদের কাগজ পত্র ঠিক নাই। এদিকে সি.এ বাবন রায় এর সাথে কথা হলে তিনি জানান, আমার ওপর মিথ্যে অভিযোগ এনেছে, মিথ্যে মামলা করেছে,আমি এমনটি বলেনি।।