ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলা সম্মেলন কক্ষে বুধবার দুপুরে ১০০ গৃহহীন ও ভুমিহীন পরিবারের মাঝে দুই শতাংশ জমি সহ একটি করে পাকা ঘরের কাগজপত্রাদী হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে। এরআগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকার প্রকল্প ‘আশ্রয়ন-২’ এর ‘ক’ শ্রেনীর ভুমিহীন ও গৃহহীনদের পূনর্বাসনের জন্য নির্মিত ৪র্থ পর্যায়ের জমি সহ গৃহ হস্তান্তরের প্রধানমন্ত্রীর সরাসরি অংশগ্রহনের ভার্চুয়াল অনুষ্ঠানটি গণভবন থেকে সমপ্রচার করা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে উপজেলা সদর ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের উন্মুক্ত পদ্মা পারে নির্মিত ৯০টি পাকা ঘর ও গাজীরটেক ইউনিয়নে আরও ১০টি সহ মোট ১০০টি গৃহহীন পরিবারের মাঝে ঘরের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র হস্তান্তর অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়। এ গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার তানজিলা কবির ত্রপা। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট বিপুল চন্দ্র দাস। উপজেলা চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মোঃ কাউছার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ মোতালেব হোসেন মোল্যা, ফরিদা বেগম, সহকারী কমিশনার (ভুমি) খাইরুল ইসলাম, থানা অফিসার ইনচার্জ সেলিম রেজা গৃহ হস্তান্তর অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। এ অনুষ্ঠানে সুবিধাভোগী ছাড়াও অন্যান্যর মধ্যে উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা, কর্মচারী, ইউপি চেয়ারম্যানবৃন্দ, বীর মুক্তিযোদ্ধাবৃন্দ, শিক্ষক ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
জানা যায়, উক্ত প্রকল্পর ৪র্থ পর্যায়ে বরাদ্দকৃত প্রতিটি ঘরে রয়েছে দু’টি বেডরুম। ঘরের সাথে এটাষ্টেট দু’টি বারান্দা। পিছনের বারান্দার এক অংশে রান্না ঘর এবং অন্য অংশে বাথরুম। আর সামনে রয়েছে আরেকটি উন্মুক্ত বরান্দা। গৃহহীনরা এখন তাদের নামে বরাদ্দপ্রাপ্ত ঘরের মধ্যে বসেই নিত্যদিনের বিভিন্ন সাংসারিক কার্যাবলী সারতে পারছেন।
এছাড়া নবনির্মিত আশ্রয়ন প্রকল্পর চারপাশে রয়েছে উন্মুক্ত ফসলী মাঠ ও পদ্মা পারের মনোরম পরিবেশ। ফলে আশ্রয়কের্ন্দের বাসিন্দাদের পাশেই রয়েছে কৃষি ও মৎস্য খাতে জিবীকা নির্বাহের এক উজ্জল সুযোগ। যাতায়াতের জন্য গ্রামের মধ্যে দিয়ে পাকা রাস্তার সাথে রয়েছে আশ্রয়ন প্রকল্পের আরেকটি সংযোগ রাস্তা। আশ্রয়ন কেন্দ্রটিতে দেওয়া হয়েছে বৈদ্যতিক ও ইন্টারনেট সংযোগ। সবমিলে, উপজেলার নিঃগৃহিত জনগোষ্ঠী সরকারের বিশেষ নজরদারির কারনে ফিরে পাচ্ছেন প্রায় ধরনের ডিজিটাইশেন সুবিধা।