ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলার বিভিন্ন বাজারে রমজানের শুরু থেকে প্রতিদিন আছর নামাজের পরই জমজমাট হয়ে ওঠে ইফতার বাজার। ইফতার সামগ্রী তৈরী ও বিক্রি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন ক্রেতা বিক্রেতারা। কিন্ত কেউ মানছেন না ইফতার সামগ্রী তৈরী ও বিক্রির স্বাস্থ্য বিধিমালা। যদিও উপজেলা পরিষদ থেকে রমজান শুরুর আগেই স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতার সামগ্রী তৈরী ও বিক্রি করার জন্য প্রচার প্রচারনা সহ মাইকিং করা হয়েছে। কিন্ত উপজেলার কোনো ইফতার ব্যবসায়ী স্বাস্থ্য বিধিমালা ভ্রুক্ষেপ না করে শুধু নিজেদের আখের গুটিয়ে চলেছেন। এতে হুমকীর মুখে পড়েছে উপজেলার জনস্বাস্থ্য এবং বিনষ্ট হচ্ছে রমজানের পবিত্রতা।
শুক্রবার বিকেলে উপজেলা বাজারে সরেজমিন ঘুরে জানা যায়, পিয়াজু পিছ ৫ টাকা, চপ ৫ টাকা, শাহী জিলাপী পিছ ২০ টাকা, ছোলাভুনা কেজি ২০০ টাকা, বুটভুনা ২০০ টাকা ও ভুনি ২০০ টাকা কেজি দর সহ বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী বিক্রির ধুম লেড়ে আছে। কিন্ত উপজেলা বাজারের কোনো ব্যবাসায়ী ইফতার সামগ্রী তৈরী ও সংরক্ষন বিধি মানছেন না। তারা রাস্তার পাশে বসেই খোলা আকাশের নিচে এবং সম্পূর্ন উন্মুক্ত রেখে ইফতার সামগ্রী তৈরী ও বিক্রি করে চলেছেন। ইফতার দোকানগুলোর ঘেষে প্রতিনিয়ত বাস, ট্রাক, পিকআপ, ভ্যান, রিক্সা সহ বিভিন্ন যান চলাচল করে ইফতার সামগ্রীকে স্বাস্থ্য নাশক খাবারে পরিনত হচ্ছে। একই সাথে রাস্তার মশামাছি ও আবর্জনা ইফতার সামগ্রীর উপর পড়ছে। বেশীরভাগ বিক্রেতারা ইফতার সামগ্রী তৈরীতে অনেক দিনের জ্বালানো তৈল ব্যবহার করছেন এবং প্রতিটি ইফতার সামগ্রী তৈরীর ক্ষেত্রে বিক্রেতারা বাজারের কৃত্তিম রং বা খুব কমদামী কাপড়ের রং ব্যাবহার করে ইফতার সামগ্রীকে বাহারী কালার দিচ্ছে। এতে রোজাদারদের স্বাস্থ্য হুমকীর মুখে রয়েছে বলে অনেক মুসল্লি জানিয়েছেন।
উপজেলার বিভিন্ন ইফতার বিক্রেতাকে জিজ্ঞেস করে জানা যায়, এ বছর রমজান শুরুর পর বাজারে কোনো সেনেটারী ইন্সপেক্টর পরিদর্শন করেন নাই বা ব্যাবসায়ীদের কোনো পরামর্শ দেন নাই। তবে চরভদ্রাসন হাট/বাজার বণিক সমবায় সমিতির সভাপতি মোঃ আলমগীর মোল্যা জানান, রমজান শুরুর আগেই উপজেলা নির্বাহী অফিসার রমজানের পবিত্রতা নিয়ে আমাদের সাথে বৈঠক করেছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে ইফতার সামগ্রী তৈরী ও বাজারজাত করার জন্য মাইকিংও করেছেন। কিন্ত বাজারের অনেক ইফতার বিক্রেতা বিধিমালা মানছেন না”।