চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা ইটভাটার কারণে পরিবেশ বিপন্ন হয়ে পড়েছে। দুইটি পৌরসভা ও ৮টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চন্দনাইশ উপজেলায় পাহাড় ও লোকালয়ের গড়ে উঠেছে ৩২ টি ইটভাটা। উপজেলার কাঞ্চননগরস্থ ৪১ নং লট এলাহাবাদ ,বরমা ইউনিয়নের ৬ নং ওয়ার্ডস্থ মাইগাতা ,মধ্যম হাশিমপুর ও সাতাবাড়িয়া এলাকায় অবৈধভাবে এতগুলো ইটভাটা গড়ে উঠলেও অধিকাংশ ভাটায় পরিবেশ অধিদপ্তরের ছাড়পত্র বলতে কিছুই নেই। সরকারিভাবে পাহাড়ের পাদদেশে ও লোকালয়ে ইটভাটা গড়ে তোলা নিষিদ্ধ হলেও এমতবস্থায় নিবির্ঘ্নে বিনা বাধায় চালিয়ে যাচ্ছে ইটভাটা ব্যবসা। অথচ পরিবেশ অধিদপ্তরের মতে ভাটা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রন বিধিমালায় বলা হয়-আবাসিক,সংরক্ষিত বা বাণিজ্যিক এলাকা,কৃষি জমি,পাহাড়-টিলা বা পরিবেশ সংকটাপন্ন এলাকায় ইটভাটা স্থাপন নিষিদ্ধ। এসব বিধিমালাকে উপেক্ষা করে বিভিন্ন ভাটায় ইটতৈরীতে ব্যবহার করা হচ্ছে ফসলি জমির মাটি আর ইট পোড়ানো কাজে জোগান দেওয়া হচ্ছে বেশির ভাগই লাকড়ি। ফলে উজাড় হয়ে যাচ্ছে বনাঞ্চল। এছাড়াও ইটভাটায় চলাচলকৃত ট্রাকের জন্য নষ্ট হয়ে পড়ছে গ্রামীন অবকাটামো। দেশের সর্ব উচ্চ আদালত জরুরী ভিত্তিতে পরিবেশ ধবংসকারী ইটভাটা বন্ধ করে দেওয়ার নির্দেশনা থাকলেও এর কোন কার্যক্রম নেই বলেই চলে। স্থানীয় বাসিন্দা আজিজুর রহমান ও সেলিম উদ্দিন বলেন, ছোট একটি উপজেলায় এতগুলো ভাটায় বিস্তূর্ণ এলাকা দখল এবং মাটি ও জ্বালানি কাঠ জোগানে পরিবেশ বিপযর্স্ত হয়ে পড়েছে। পরিবেশ রক্ষায় সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের কার্ষকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরী প্রয়োজন। সম্প্রতি বাংলাদেশ হিউম্যান রাইটস ও বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রতিবেদনের পরিপেক্ষিতে চট্টগ্রাম পরিবেশ অধিদপ্তরের পরিদর্শক উর্মি সরকারের সহযোগিতায় চন্দনাইশ উপজেলা প্রশাসন অবৈধভাবে ভাটা স্থাপন ও ছাড়পত্র না থাকায় এলাহাবাদ এলাকার দুইটি ইটভাটায় অভিযান চালিয়েছেন। চন্দনাইশ ইটভাটা মালিক সমিতির সভাপতি আবদুর রহিম বাদশা বলেন,আমাদের সব ইটভাটা গুলো ঝিকঝাঁক,আইনসিদ্ধ চিমনিযুক্ত। যে সব কয়টি ভাটার ছাড়পত্র নেই-সেই গুলোর জন্য পরিবেশ অধিদপ্তরে ছাড়পত্রের আবেদন করা হয়েছে। তাদের কালক্ষেপনের কারণে দীর্ঘ একটি বছর অতিবাহিত হলেও এখনো ছাড়পত্র পাওয়া যায়নি। তা ছাড়াও ছাড়পত্র বা লাইসেন্স নরায়ন করতে গিয়েও নানা বিড়ম্বনার শিকার হতে হয় বলে জানান তিনি। চন্দনাইশ উপজেলা সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট জিমরান মো:সায়েক বলেন, প্রশাসনের পক্ষ হতে অভিযান পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে,এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ।