পাঁচদিনের ব্যবধানে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজিতে ৮০-৯০ টাকা পর্যন্ত কমেছে। পোলট্রি খাতের শীর্ষস্থানীয় চার প্রতিষ্ঠান খামার পর্যায়ে ব্রয়লার মুরগির দাম প্রতি কেজি ১৯০-১৯৫ টাকা নির্ধারণের পরেই বাজারে এমন নিম্নমুখী প্রবণতা দেখা যাচ্ছে। মঙ্গলবার রাজধানীর বিভিন্ন বাজারে দেখা যায়, প্রতি কেজি ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছিল ২০০ থেকে ২১০ টাকায়, যা গত সোমবার ছিল ২২০ থেকে ২৩০ টাকা। অর্থাৎ একদিনের ব্যবধানে দাম কমে কেজিতে ২০ টাকা। এ দাম রোজা শুরুর আগের দিন (২৩ মার্চ) ৩০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করছিল। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, প্রতিদিন বাজারে মুরগির দাম কমছে। করপোরেট কোম্পানিগুলো দাম কমিয়ে দেওয়ার কারণে প্রান্তিক খামারে মুরগির দাম আরও বেশি কমেছে। বর্তমানে পাইকারি পর্যায়ে প্রতি কেজি ব্রয়লার ১৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এ দাম আরও কমতে পারে। রামপুরা বাজারের মুরগি বিক্রেতা মোমেন হোসেন বলেন, সরকার দাম নির্ধারণ করে দেওয়ার পর থেকে মুরগির দাম কমছে। দু-একদিনের মধ্যে দাম আরও কমবে, ২০০ টাকার নিচে থাকবে। তিনি বলেন, আজ (মঙ্গলবার) যা বিক্রি করছি সেগুলো গতকালের (গত সোমবার) দামে কেনা। আজ (মঙ্গলবার) সকালে যারা কাপ্তানবাজার থেকে মুরগি এনেছেন, তারা ২০০ টাকা দরেও বিক্রি করতে পারছেন। আগামীকাল (বুধবার) দাম আরও কমবে। এদিকে, ব্রয়লারের নিম্নমুখী দামের কারণে সোনালি মুরগির দামও কিছুটা কমেছে। বর্তমানে সোনালি মুরগি প্রতি কেজি ৩৫০ থেকে ৩৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কয়েকদিন আগেও সোনালি মুরগির দাম ৪০০ টাকা ছুঁই ছুঁই করছিল। রাজধানীর বিভিন্ন বাজার ঘুরে দেখা গেছে, দরদাম করে কিনলে মুরগি বিক্রেতার চাওয়া দামের থেকে আরও ৫-১০ টাকা কবে কেনা যাচ্ছে। অধিকাংশ দোকানে ব্রয়লার প্রতি কেজি ২১০ টাকা চাওয়া হচ্ছে। আবার পাড়া-মহল্লার কিছু দোকানে এখনো মুরগি বাড়তি দামে বিক্রি হচ্ছে। কোনো কোনো দোকানে প্রতি কেজি ব্রয়লার ২২০ টাকায় বিক্রি করতে দেখা গেছে।