চাঁদপুর- ফরিদগঞ্জ - রায়পুর সড়কের ইসলামপুর গাছতলা এলাকায় আনন্দ পরিবহনের মিনি বাসের সঙ্গে সিএনজি স্কুটার মুখোমুখি সংঘর্ষে ১ জন নিহত ও একই পরিবারের ৩ জনসহ ৬ জন গুরুতর আহত হয়েছেন। শুক্রবার জুম্মার নামাজ শেষে দুপুর পৌণে দুইটার সময় কাদির মেম্বার মার্কেটের সামনে মর্মান্তিক এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ও আহতরা সবাই সিএনজির যাত্রী। তাদের বাড়ি লক্ষ্মীপুর জেলার রায়পুর থানাধীন।
নিহত যাত্রীর নাম সোহেল(৩২)। আহতরা হলেন চালক আলাউদ্দিন (৩৫),যাত্রী রুবেল (৩০),আব্দুল মাঝি (৬০),আঃ মজিদ (৫৫),পিয়ারা বেগম(৪০) ও তার দুই বছরের বাচ্চাসহ এই ৬ জন আহত হয়। মৃত্যুর সংখ্যা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। চাঁদপুর সরকারি জেনারেল হাসপাতাল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। আহতদের মধ্য চালক আলাউদ্দিনকে বিকালে ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে।হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রুবেল,আব্দুল মাঝি ও আঁ মজিদের অবস্থা গুরুতর বলে কর্তব্যরত চিকিৎসক আরএমও মিজানুর রহমান জানিয়েছেন। তিনি বলেন, একজন ঘটনাস্থলে মারা যায় এবং আহত অবস্থায়একটি শিশু বাচ্চাসহ আমরা ৬ জনকে পেয়েছি। এর মধ্য ৩জনের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসা দিয়ে হাসপাতালে রাখা হয়েছে। স্বজনরা এলে ঢাকা রেফার করা হবে। এদিকে, খবর পেয়ে চাঁদপুর সদর মডেল থানা পুলিশ নিহত যাত্রীর মৃতদেহ ও দুমড়েমুচড়ে যাওয়া সিএনজিটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং দুর্ঘটনাস্থলে আনন্দ পরিবহনের বাসটি জব্দ করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, চাঁদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে আনন্দ পরিবহনের বাসটি যাত্রী নিয়ে ফরিদগঞ্জ ও রায়পুরের দিকে যাচ্ছিল। অপরদিকে, বিপরীত দিক হতে রায়পুরের ৭ জন যাত্রী নিয়ে সিএনজিটি চাঁদপুর যাওয়ার সময় সদর থানাধীন গাছতলা কাদির গাজীর মার্কেটের সামনে চালক নিয়ন্ত্রণ হারালে বাস- সিএনজির সামনাসামনি সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থলেই সিএনজির যাত্রী সোহেলের মৃত্যু হয় এবং আহতদের উদ্ধার করে চাঁদপুর সরকারি জেনজরেল হাসপাতালে ভর্তি করে। ঘটনার পরপর ঘাতক বাসের চালক ও হেলপার পালিয়ে গেছে। সিএনজির যাত্রীরা ঢাকা যাবার জন্য রওনা হয়েছিল বলে জানা যায়।