ভোলার তজুমদ্দিনে জনপ্রিয় হচ্ছে সূর্যমুখী ফুলের চাষ,সূর্যমুখী ফুল চাষে অধিক লাভের স্বপ্ন দেখছেন কৃষক। চলতি মৌসুমে কৃষকরা ব্যাপক হারে জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছেন ইতোমধ্যে গাছে ফুল ধরতে শুরু করেছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, তজুমদ্দিন উপজেলার বিভিন্ন স্থানে কৃষি জমিতে সূর্যমুখী ফুল হাসিমুখে সূর্যের হাসি ছড়াচ্ছে চারিদিকে। হলুদ ফুল আর সবুজ গাছের অপরূপ দৃশ্য। সূর্যমুখীর সৌন্দর্য দেখতে আশপাশের বিভিন্ন স্থান থেকে দর্শনার্থীরা জমির পাশে ভিড় জমাচ্ছেন। কেউ কেউ আবার ফুলের সঙ্গে দাঁড়িয়ে ছবিও তুলছেন।
সোনাপুর ইউনিয়নের কৃষক মোঃ চুন্নু মিয়া জানান, উপজেলা কৃষি অফিস থেকে বিনামূল্যে বীজ ও সার পেয়ে আমি জমিতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ করেছি। অল্প সময়ে কম পরিশ্রমে ফসল উৎপাদন ও ভালো দাম পাওয়া যায় সূর্যমুখী ফুল চাষে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে সূর্যমুখী ফুল থেকে আমি আর্থিকভাবে লাভবান হবো।
এদিকে, সূর্যমুখী ফুল চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করার জন্য উপজেলা কৃষি অফিস বিভিন্ন কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। চাষিদের বীজ সরবরাহ করাসহ সার ও কীটনাশক দেওয়া হয়েছে।
উপজেলা উপ সহকারী কৃষি অফিসার মোঃ শিরাজুল ইসলাম বলেন, এবছর তজুমদ্দিনে ব্যাপক হারে সূর্যমুখী ফুলের চাষ হয়েছে। এবছর আমাদের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ১০ হেক্টর, কম সময়ে অধিক ফলন হওয়ায় ৩০ হেক্টর জমিতে সূর্যমুখী ফুলের আবাদ হয়েছে। কৃষকদের স্বাবলম্বী করতেই সূর্যমুখী ফুল চাষে উৎসাহিত করা হয়েছে। আগামীতে সূর্যমুখী ফুলের চাষ আরও বাড়বে বলে প্রত্যাশা করছি।