পদ্মা নদীর দু’পাড়ে বিশাল চর জেগে উঠায় পাবনার সুজানগর উপজেলার সাতবাড়ীয়া এবং রাজবাড়ীর পাংসা উপজেলার হাবাসপুর নৌ-পথে চলা খেয়া নৌকার যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে সৃষ্ট এ পরিস্থিতিতে যাত্রী কম হওয়ায় খেয়া নৌকার মাঝিরাও ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।
সাতবাড়ীয়া ইউপি চেয়ারম্যান আবুল হোসেন জানান, সাতবাড়ীয়া এবং হাবাসপুর নৌ-পথের দূরত্ব ৬ কিলোমিটার। চলতি মৌসুমে পদ্মা নদীর পানি শুকিয়ে ওই নৌ-পথের হাবাসপুর এলাকায় চার কিলোমিটার এবং সাতবাড়ীয়া এলাকায় এক কিলোমিটার চর জেগে উঠেছে। মাত্র এক কিলোমিটার নদীতে রয়েছে পানি। আর সেকারণে ওই নৌ-পথে চলাচলকারী যাত্রীদের নদীর দীর্ঘ ৫কিলোমিটার চর পায়ে হেঁটে এবং মাত্র এক কিলোমিটার পদ্মা নদী খেয়া নৌকায় পার হয়ে বিভিন্ন গন্তব্যে যেতে হচ্ছে। উপজেলার খয়রান গ্রামের ভুক্তভোগী যাত্রী বাবু তালুকদার বলেন নদীর দু’পাড়ের ধুধু বালু চর পায়ে হেঁটে পার হয়ে গন্তব্যে পৌঁছা অত্যন্ত কষ্টকর। বিশেষ করে মহিলা যাত্রীদের পক্ষে বেশি কষ্টকর। তবে যে সকল যাত্রীদের সচ্ছলতা আছে তারা পায়ে না হেঁটে ঘোড়ার গাড়ীতে ওই চর পারি দিয়ে গন্তব্যে যেতে পারছেন। উপজেলার গোপালপুর গ্রামের ভুক্তভোগী যাত্রী আবদুর রাজ্জাক বলেন মোটরসাইকেল নিয়ে খেয়া নৌকায় নদী পার হওয়া যাত্রীদের সবচেয়ে বেশি কষ্ট। কেননা চরের উপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালানো পায়ে হাঁটার চেয়েও বেশি বেগ পেতে হয়। খেয়া নৌকার মাঝি রাম কুমার দাস বলেন পদ্মা নদীর বেশিরভাগে অংশে চর জেগে উঠায় আমরা সুবিধা মতো জায়গায় ঘাট স্থাপন করতে পারছিনা। এতে যাত্রীদের নৌকায় উঠাতে-নামাতে ভীষণ কষ্ট হচ্ছে। একই কারণে এ নৌ-পথে যাত্রী কম হওয়ায় মাঝিরা আর্থিভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বলেও তিনি জানান। ভুক্তভোগী যাত্রী এবং খেয়া নৌকার মাঝিরা চর জেগে উঠার হাত থেকে নদীকে রক্ষা করতে বর্ষা মৌসুমে নদী ড্রেজিং করে নাব্যতা বৃদ্ধির আহবান জানান। পাবনা-২আসনের সংসদ সদস্য আহমেদ ফিরোজ কবির বলেন নদীর নাব্যতা বৃদ্ধি করতে ড্রেজিংয়ের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে নদী গতি পথ পরিবর্তন করায় এর সুফল পাওয়া যাচ্ছেনা।