বগুড়া সারিয়াকান্দিতে আমতলী গ্রামে জমি নিয়ে ঝগড়ার একপর্যায়ে সন্ত্রাসীদের মারপিটে মহিলা সহ ৭ জন আহত হয়েছেন। আহতরা প্রথমে সারিয়াকান্দি হাসপাতালে ভর্তি হন। কিন্তু পরে দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গত ২৪ মার্চ সকাল ১১ টায় মাফুজার রহমান তোতা মন্ডলের বাড়িতে এই মারপিট সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। তবে অজ্ঞ্যাত কারণে এখনও আসামি ধরা হয়নি।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, ওই গ্রামে মহসিন মন্ডলের জমি পৌত্রিক সুত্রে ছেলে মাফুজার রহমান তোতা ও তার বোনেরা অংশীদার হন। বোন সমর্থভান এর নিকট থেকে মাফুজার রহমান তোতার ছেলে মামুনুর রশিদ বাবু ৬ শতাংশ জমি ক্রয় করেন। কিন্তু জমি দখল দিতে নারাজ হলে বগুড়া কোটে মামলা দায়ের করেন মামুনুর রশিদ বাবু। এই মামলা নিয়েই বাবুর মা গোলেবানু ও বাবা মাফুজার রহমান তোতার সাথে বাকবিতন্ডা হয়। গত ২৪শে মার্চ সকাল ১১ টার দিকে বাড়িতে এ বাকবিতন্ডার ঘটনা ঘটে। এমন সময়ে একই গ্রামের জামাই কামরুজ্জামান জেট ও নাতী জামাই সজিব মিয়া বাকবিতন্ডার স্থানে ছুটে আসেন। তারা বাকবিতন্ডান ঘটনা দেখা মাত্রই লাটি সোটা, ধারালো অস্ত্র নিয়ে এলোপাথারী মারপিট শুরু করে। এতে মামুনুর রশিদ বাবু (৪০) ও তার স্ত্রী মর্জিনা বেগম (৩৫) আহত হন। এ সময় উদ্ধারের জন্য স্বজনরা ঘটনা স্থলে ছুটে এলে উদ্ধারকারী দলকেও সন্ত্রাসীরা এলোপাথারী মারপিট ও হামলা করা হয়। পরের এই হামলা ও মারপিটে আবদুল মালেক টিক্কা (৪০), দেলোয়ার হোসেন (৫০), ভুট্টা মন্ডল (৪০),শিহাব (২২) ও মানিক মিয়া (২১) গুরুতর আহত হন। আহতদের মধ্যে শিহাব ও মানিক মিয়াকে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। প্রতিপক্ষ কামরুজ্জামান জেট বলেন, তারাতো আমার জামাই সজিব মিয়ার মাথায় আঘাতে আহত করেছে। মামলার বাদী মামুনুর রশীদ বাবু বলেন, ঘটনার ১০দিন পার হয়ে গেলো কিন্তু আসামীদের না ধরায় আমরা খুবই হতাশায় আছি।