'করলে জাটকা সংরক্ষণ, বাড়বে ইলিশের উৎপাদন' এই প্রতিপাদ্যকে ধারণ করে শনিবার (১ এপ্রিল) থেকে শুক্রবার (৭ এপ্রিল) পর্যন্ত জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ-২০২৩ উদযাপন শুরু হয়েছে। ইলিশের উৎপাদন নিশ্চিত করতে ও সকল শ্রেণির জনগণের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যেই এই আয়োজন। এ উপলক্ষে ০১/০৪/২০২৩ তারিখে চাঁদপুর জেলার হাইমচর উপজেলার নীলকমল ইউনিয়ন ঈশানবালা এলাকায় উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য বিভাগ কর্তৃক জাটকা সংরক্ষণ সপ্তাহ ২০২৩ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
স্থানীয় জেলেদের উদ্বুদ্ধকরণের জন্য আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক কামরুল হাসান। তিনি তাঁর বক্তব্যে জাটকা সংরক্ষণের মাধ্যমে জেলেদের দেশের উন্নয়নে অবদান রাখার জন্য অনুরোধ করেন। এ সময় অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন,উপজেলা প্রশাসন,মৎস্য বিভাগের কর্মকর্তাবৃন্দ, পুলিশের কর্মকর্তাবৃন্দ, কোস্ট গার্ডের কর্মকর্তাসহ ইউনিয়নের জনপ্রতিনিধি ও জেলেবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে মেঘনা নদীতে সবাইকে নিয়ে সংক্ষিপ্ত নৌ র্যালী করা হয়। জানা গেছে, আমাদের দেশে প্রায় ৬ লক্ষ লোক ইলিশ আহরণে সরাসরি নিয়োজিত এবং ২০-২৫ লক্ষ লোক ইলিশ পরিবহণ, বিক্রয়, জাল ও নৌকা তৈরি, বরফ উৎপাদন, প্রক্রিয়াজাতকরণ, রপ্তানি ইত্যাদি কাজে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত। ইলিশ সম্পদের উন্নয়নের মাধ্যমে সারাদেশের মানুষের হাতের নাগালে ইলিশ পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যেই সরকার নিরন্তর কাজ করে যাচ্ছে। সরকার মৎস্য সংরক্ষণ আইনের সময়োপযোগী সংশোধন করেছে। এর আওতায় জাটকা রক্ষার বিদ্যমান আইনটি সংশোধন করে জাটকার দৈর্ঘ্য ২৩ সেন্টিমিটার থেকে ২৫ সেন্টিমিটার বা ৯ ইঞ্চি হতে ১০ ইঞ্চি করা হয়েছে। সেই সঙ্গে জাটকা আহরণ নিষিদ্ধ সময় নভেম্বর হতে জুন পর্যন্ত ৮ মাস করা হয়েছে। জাটকাকে ইলিশে পরিণত করার জন্য এই নিষিদ্ধ সময়ে সাগরের উপকূলবর্তী এলাকাসহ সকল নদ- নদী, মাছ ঘাট, মৎস্য আড়ত ও বাজারে অবিরত অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। বর্তমান সরকার জাটকা রক্ষায় কেবল আইন প্রয়োগ করছে না বরং এই মাছ ধরা নিষিদ্ধ সময়ে জেলেদের জন্য ভিজিএফ খাদ্য সহায়তার পরিমাণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে। ২০২২-২৩ অর্থবছরে ২০ জেলায় ৯৭ উপজেলায় জাটকা আহরণে বিরত ৩ লক্ষ ৬০ হাজার ৮৬৯ টি জেলে পরিবারকে মাসিক ৪০ কেজি হারে ৪ মাসে ৫৭ হাজার ৭৩৯ মে.টন ভিজিএফ চাল বিতরণ চলমান রয়েছে।