ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ায় তিন সাংবাদিকের ওপর হামলাকারী ৫ যুবককে রোববার মামলাসহ আদালতে সপোর্দ করা হয়েছে। এর আগে শনিবার সন্ধ্যায় পৌরশহরের সড়কবাজার থেকে পুলিশ তাদের আটক করে। আটককৃত পাঁচ যুবক হলো পৌরশহরের বড়বাজারের নবী হোসেনের ছেলে মেহেদী হাসান (১৯), মসজিদপাড়ার কালু ঘোষের ছেলে আপন ঘোষ (১৯), মালদারপাড়ার সোহেল মিয়ার ছেলে সোহাগ মিয়া (১৯), কলেজপাড়ার জিয়াউল হকের ছেলে আসাদ নূর (১৯) ও জেলার বিজয়নগর উপজেলার নোয়াবাদী গ্রামের মুখলেছ মিয়ার ছেলে রুমান মিয়া(১৯)। ভ্রাম্যমাণ আদালতের সময় উপস্থিত থাকা নিয়ে শনিবার দুপুরে সাংবাদিকদের উপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলায় আহত সাংবাদিকের মধ্যে উপজেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি রুবেল আহমেদ আখাউড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন। হামলার শিকার অন্য দুই সাংবাদিক হলেন, যায়যায়দিন এর আখাউড়া প্রতিনিধি কাজী হান্নান খাদেম ও দেশ রূপান্তরের প্রতিনিধি মো. জালাল হোসেন মামুন।
হামলায় আহত সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শনিবার সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আখাউড়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট অংগ্যজাই মারমা বাজার মনিটরিংয়ে বের হন। এ সময় সড়কে অবৈধভাবে মোটর সাইকেল পার্কিং করায় একাধিক মোটরসাইকেল চালককে জরিমানা করা হয়। এর মধ্যে সাতরং ফ্যাশনের মালিক সোহাগ মিয়াকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেন আদালত। এ অভিযানকালে পেশাগত কাজে সেখানে ছিলেন, সাংবাদিক হান্নান খাদেম, জালাল হোসেন মামুন, অমিত হাসান ও হাসান মাহমুদ পারভেজ নামে চার সাংবাদিক। সাংবাদিক হান্নান খাদেম জানান, বেলা সাড়ে তিনটার দিকে তিনি সাংবাদিক জালাল হোসেনকে নিয়ে সড়ক বাজার এলাকায় তরমুজ কিনছিলেন। এ সময় সাতরং ফ্যাশনের মালিক সোহাগ মিয়া এসে অভিযোগ করে মামুন তার মোটরসাইকেলটি দেখিয়ে দেওয়ায় জরিমানা করা হয়। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে সোহাগ মিয়া আরো দুই যুবককে সঙ্গে নিয়ে জালাল হোসেনের উপর হামলা করেন। জালাল হোসেনকে বাঁচাতে গেলে হান্নান খাদেমের উপরও হামলা হয়। বিষয়টি দেখতে গেয়ে রুবেল আহমেদ এগিয়ে গেলে তাকেও বেদম পেটানো হয়। পরে বাজারের লোকজন এগিয়ে এসে সাংবাদিকদের রক্ষা করেন ও রুবেলকে হাসপাতালে পাঠান। খবর পেয়ে পুলিশ এসে পাঁচজনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ ঘটনায় রুবেল আহামেদ বাদী হয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দেন। পরে অভিযোগটি এজাহারভ’ক্ত করা হয়।
আখাউড়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) মোঃ আসাদুল ইসলাম বলেন, আটককৃতদের মামলাসহ আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। এজাহারীয় বাকিদের ধরতে পুলিশ মাঠে কাজ করছে।