গাজীপুরের কালীগঞ্জে সন্ত্রাসী কর্তৃক ৩ জনকে পিটিয়ে আহত করে ২লাখ টাকা ছিনতাই ও মোটর সাইকেল ভাংচুর করেছে। ঘটনাটি উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামে ঘটেছে। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কালীগঞ্জ থানার ওসি বলেন, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। একজনকে আটক করে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
স্থানীয় ও থানা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার মোক্তারপুর ইউনিয়নের বড়গাঁও গ্রামের শাহ জাহান পালোয়ানের পুত্র সিয়াম ও তার বন্ধু একই এলাকার নজরুল ইসলামের পুত্র আলী হোসেন বিদেশ যাওয়ার জন্য ২ লাখ টাকা জমা দিতে মোটরসাইকেলে গত ৩০ মার্চ সন্ধ্যায় গাজীপুরের জোড় পুকুর যাচ্ছিল। তারা স্থাণীয় দড়িবাঘুন জামে মসজিদের সামনে পৌছলে রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত কবির ভুইয়ার পুত্র চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী রোকনুজ্জামন রনি ভুইয়ার নির্দেশে ১০/১৫ জনের একটি স্বশস্ত্র সন্ত্রাসী দল তাদের মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে তাদের উপর অতর্কিত হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা সিয়াম ও আলী হোসেনকে গুরুতর আহত করে ও মোটরসাইকেলটি ভাংচুর করে তাদের নিকট থাকা ২ লাখ টাকা ও একটি মোবাইল ফোন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেয়। খবর পেয়ে সিয়ামের ভাই সাব্বির হোসেন ঘটনাস্থলে গেলে সন্ত্রাসীরা তাকেও রক্তাক্ত জখম করে। পরে স্থানীয়রা তাদের মূমুর্ষ অবস্থায় উদ্ধার করে গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমেদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
রোববার সকালে সিয়ামের মা মোসাঃ ফাতেমা বাদী হয়ে চিহ্নিত মাদক ব্যবসায়ী ও সন্ত্রাসী রামচন্দ্রপুর গ্রামের মৃত কবির ভুইয়ার পুত্র রোকনুজ্জামন রনি ভুইয়া, বাঘুন গ্রামের মৃত ইব্রাহিমের পুত্র শৈয়ব হোসেন ও আইয়ুব হোসেন, মৃত ইন্দির পুত্র আজিমুদ্দিন, মোজাফফর হোসেনের পুত্র নুুরুজ্জামান, আজিমুদ্দিনের পুত্র সাব্বির, মোকলেসের পুত্র আফজাল, মৃত ইব্রাহিমের পুত্র হৃদয়, বারেকের পুত্র রিফাত, মৃত আহাদ আলীর পুত্র কবুত আলী এবং রামচন্দ্রপুর গ্রামের কবির ফকিরের পুত্র সোহাগ ও মৃত জনব আলী ফকিরের পুত্র আকরাম হোসেন ফকিরের নাম উল্লেখ্য করে কালীগঞ্জ থানায় ২(৪)২৩ নং মামলা দায়ের করেন।
এ বিষয়ে কালীগঞ্জ থানার এসআই মো. আমিনুল ইসলাম জানান, মামলা দায়েরের পর অভিযান চালিয়ে রিফাত নামে একজনকে আটক করা হয়। তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে রিফাত টাকা নেওয়ার কথা স্বীকার করেছে। মোটরসাইকেলটি উদ্ধার করে মালিককে বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে। কালীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, হামলার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় একজনকে আটকের পর আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে। অন্য আসামীদের আটক করতে গ্রেপ্তার অভিযান অব্যাহত আছে।