ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বড় শিমলা গ্রামে বসতবাড়িতে অতর্কিত হামলা করেছে প্রতিপক্ষরা। এ সময় অন্তত ৪টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটনা হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন ১ জন। স্থানীয়রা জানায়, রোববার সকালে উপজেলার বড় শিমলা গ্রামে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে গাজীপাড়া এলাকার কয়েকটি বাড়িতে অতর্কিত হামলা চালায় ২৫/৩০ জন। তাদের সবার হাতে দেশীয় অস্ত্র দাঁ, রামদা, চাইনিজ কুড়াল ছিল। এ সময় তারা আনারুল ও জব্বারের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে থাকে। হামলার সময় আনারুল ও জব্বার মাঠে ছিল। তাদের স্ত্রী-সন্তানেরা ভয়ে বাসার ছাদে আশ্রয় নেয়। এ সময় হামলাকারীরা বাসার ছাঁদ লক্ষ্য করে দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়। এছাড়াও আশপাশে আরও দুটি বোমার বিস্ফোরণ ঘটায়।
স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে যশোর সদর হাসপাতালে রেফার্ড করে। সকালে উপজেলার বড় শিমলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। সকালেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাকে যশোর ২৫০ শয্যা হাসপাতালে ভর্তি কর হয়েছে। আহত ব্যক্তি বড় শিমলা গ্রামের মৃত আবু কালামের ছেলে। এক বছর আগে স্থানীয় ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হযরত আলীকে কুপিয়ে জখম করে বড় মিশলা গ্রামের প্রতিপক্ষরা। তাদের ধারালো দায়ের কোপে হযরত আলীর একটি হাতের কব্জি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এ নিয়ে এলাকায় দু’টি পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। রোববার সকালে ২০/২৫ জন বড় শিমলা গ্রামের গাজিপাড়ায় গেলে দুই পক্ষের লোকজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এ সময় বোমার বিস্ফোরণে সবুজ জখম হয়। তবে ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি হযরত আলী জানান, আমাকে যারা হত্যার উদ্দশ্যে কুপিয়েছিল। তারা আজ আমার সমর্থককে লক্ষ্য করে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। তিনি আরো জানান, সবুজ ব্যবসায়িক কাজে বাড়ি থেকে বের হয়ে পাশ^বর্তী পাতবিলা গ্রামে যাচ্ছিল। এ সময় বড় শিমলা গ্রামের গাজি পাড়ায় পৌছালে তাকে লক্ষ্য করে বোমা ছুড়ে মারে। এ সময় বোমার বিস্ফোরণে সবুজের পেট ও বুক জখম হয়।
কালীগঞ্জ থানার ওসি আবদুর রহিম মোল্ল্যা জানান, এ ঘটনায় এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে গ্রামটিতে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। সেখানে বোমার বিস্ফোরণ ঘটনো হয়েছে। তবে কয়টি বোমার বিস্ফোরণ ঘটেছে সেটি এখন নিশ্চিত করে বলতে পারেননি।