দিঘলিয়ায় জাটকা সংরক্ষণে জাটকা নিধন প্রতিরোধে উপজেলার নদীগুলোতে অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করছে দিঘলিয়া উপজেলা প্রশাসন। প্রতিনিয়ত উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে লাখ লাখ মিটার কারেন্ট, চরঘেরা ও বেহুন্দী জাল। তবুও বন্দ হচ্ছে না জাটকা নিধন। সরকারিভাবে দিঘলিয়ার আতাই, মজুদখালী ও ভৈরব নদীতে ও উপজেলার হাট-বাজারগুলোতে জাটকা ও মা ইলিশ সংরক্ষণে জাটকা ও মা ইলিশ শিকার প্রতিরোধে দিঘলিয়া উপজেলা মৎস্য দপ্তরের উদ্যোগে প্রায় সারা বছর অভিযান ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। তবুও জাটকা শিকার বন্ধ করা সম্ভব হচ্ছে না। দিঘলিয়া উপজেলার বিভিন্ন হাটে বাজারে অবাধে জাটকা আমদানি ও কেনাবেচা হচ্ছে। সরেজমিনে বিভিন্ন বাজার পরিদর্শনে গিয়ে এর সত্যতা পাওয়া গেছে। দিঘলিয়া উপজেলার ফরমাইশখানা নিবাসী শেখ আনসার এ প্রতিবেদককে জানান, সেনহাটি বাজারে প্রায় দিনে জাটকা বিক্রি হয়। মাছ ব্যবসায়ীরা কৌশলে অন্যান্য মাছের নিচে ঢেকে জাটকা বাজারে আমদানি করে। তাদের নিকট জিজ্ঞাসা করলে বলে আমরা খুলনা ঘাট থেকে মাছ কেনার সময় জাটকা মিশ্রন থাকে। এগুলো বরিশাল থেকে মিশ্রনভাবে আসে। আমাদের কিছু করার থাকে না। আলোর মিছিলের প্রধান উপদেষ্টা সবেক ছাত্র নেতা ও বিশিষ্ট তরুণ সমাজসেবক জি এম আকরাম এ প্রতিবেদককে জানান, সরকারের সকল সম্পদ সংরক্ষণে আইনের যথাযথ কঠোর প্রয়োগ প্রয়োজন। তিনি আইন অমান্যকারীদের আইনের আওতায় আনতে জোর ও শক্তিশালী অভিযান পরিচালনার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছেন। দিঘলিয়া উপজেলা মৎস্য দপ্তরের সিনিয়র মৎস্য অফিসার মোঃ মঞ্জুরুল ইসলাম এ প্রতিবেদককে জানান, জাটকা সংরক্ষণে নদীগুলোতে বিশেষ অভিযান পরিচালিত হচ্ছে। আমরা জাটকা শিকারে ব্যবহৃত নানা ধরণের জাল উদ্ধার করে আগুনে পুড়িয়ে বিনষ্ট করা হচ্ছে। এ এলাকার জেলে সম্প্রদায়কে মা ইলিশ সম্পদ ও জাটকা সংরক্ষণে অবৈধ শিকারে নিবৃত করতে গরীব জেলেদের ৩০ জনকে বকনা বাছুর দেওয়া হয়েছে। ৪০০ পরিবারকে সরকারি প্রণোদনা সহায়তা স্বরুপ ২৫ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। এলাকার সচেতন মহলের দাবী অবৈধ জাটকা সংরক্ষণে হাটে-বাজারে শক্তিশালী অভিযান পরিচালনা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা প্রয়োজন।