‘‘মানুষ মানুষের জন্য-জীবন জীবনের জন্য’’ ২৪ঘন্টা না পেরুতেই এতিম হয়ে যাওয়া ৭ মাসের শিশু কন্যা সন্তানের দায়িত্ব নিলেন মানবিক ও জন-মানুষের নেতা হিসেবে খ্যাত উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান নীরা (সাদ্দাম আকঞ্জি)। শুক্রবার রাতে বিজিবি‘র গুলিতে নিহত হওয়া দিনমজুর আমিনুল ইসলাম (২৫) এর মেয়ে জান্নাতুন আক্তারের দায়িত্ব নেন সাদ্দাম আকঞ্জি।
এ নিয়ে রোববার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে জানা গেছে, শুক্রবার (৩১ মার্চ) রাত সাড়ে আটটার দিকে দুর্গাপুর সদর ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী লক্ষিপুর গ্রামে অবসরপ্রাপ্ত বিজিবি সদস্য আদিবাসী প্রসিন্ত মারাক এর বাড়ির সামনে বিজিবি‘র গুলিতে নিহত হয়েছেন ঐ গ্রামের বারেক মিয়ার ছেলে দিনমজুর আমিনুল ইসলাম এবং জাইদুল ইসলাম (৩৮) অপর একজন গুলিবিদ্ধ হলে দুর্গাপুর হাসপাতালের চিকিৎসা শেষে ময়মনসিংহ মেডিকেল হাসপাতালে প্রেরন করা হয়। পরবর্তিতে আমিনুলের মরদেহ হেফাজতে নেন দুর্গাপুর থানা পুলিশ।
এ খবর শুনে ঐ পরিবারের সাথে কথা বলে, প্রাথমিক ভরন-পোষনের জন্য নগদ ৫০ হাজার টাকা এবং শিশু কন্যা জান্নাতুন আক্তারের দায়িত্ব নিলেন মানবিক নেতা সাদ্দাম আকঞ্জি।
নিহতের মা কুলসুমা খাতুন বলেন, আমরার পরিবার অহন অসহায়। আমরার মতন গরীব মাইনষেরে সাহায্য করার লাগিন সাদ্দাম আকঞ্জি আইছে আল্লাহ্ হের ভালা করবাইন, এই কথা গুলো বলতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে তিনি আরো বলেন, আমার ছেলে দিনমজুরের কাজ করে সংসার চালাতো, ঐ গ্রামের সুপারি ব্যবসায়ীরা আমার ছেলে সহ আরো কয়েকজন কে বর্ডারের কাছে সুপারির বস্তা মাথায় করে নিয়ে যেতে বলে। ঐ সময় বিজিবি সদস্যরা কোনো কিছু না বলেই প্রথমে আমিনুল কে মারধর করে। পরে আমিনুল তার প্রতিবাদ করলে তাকে গুলি করে হত্যা করে। আমিনুলের সাথে থাকা জাইদুল কেও গুলি করে আহত করে। আমি আর বাজান বলে কাউরে ডাকতে পারতাম না, আমরা এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাদ্দাম আকঞ্জি বলেন, পৃথিবীতে সবচেয়ে ভারী বোঝা হলো বাবার কাঁধে সন্তানের লাশ। যার সন্তান হারিয়েছে একমাত্র সেই বুঝতে পারবে এ কষ্ট কতটুকু। আমি আমার সাধ্যমত চেষ্টা করবো ওই পরিবারের ভরন পোষন করতে। আপনারা আমার জন্য দোয়া করবেন, আমি যেন এমনি ভাবে সাধারণ মানুষের পাশে দাঁড়াতে পারি।