ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে নাফকো গ্রুপের বাজারজাতকৃত সেলটিমা ব্যবহারে ব্রি-২৮ ধানের মেগা মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার গোর্কণ আকাশী মাঠে কৃষক সৈয়দ টিটু মিয়ার জমিতে ব্রি-২৮ ধান কেটে আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন গোকর্ণ ইউপি চেয়ারম্যান সৈয়দ মোহাম্মদ শাহিন। মাঠ দিবস উপলক্ষে নাফকো গ্রুপের সিলেট এরিয়া সেলস ম্যানেজার মোহাম্মদ মাজিদুল ইসলাম তালুকদার নেতৃত্বে ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জমি পরিদর্শনে আসেন। এ সময় সাবেক উত্তরা ব্যাংক কর্মকর্তা সৈয়দ সালাউদ্দিন মুকুল,নাফকো টেরিটোরি মার্কেটিং কর্মকর্তা রাসেল মজুমদার,সিনিয়র কর্মকর্তা(বীজ)মোহাম্মদ মনোয়ার হোসেন,সেমকোর ম্যানেজার সৈয়দ মোহাম্মদ নোমান,কৃষক সৈয়দ মোহাম্মদ টিটু ও কৃষক শওকত আলীসহ স্থানীয় কৃষকরা উপস্থিত ছিলেন। অতিথিরা কৃষক সৈয়দ টিটু মিয়ার ব্রি-২৮ ধানের জমি পরিদর্শন করেন।
কৃষক সৈয়দ টিটু মিয়া জানান, নাফকো গ্রুপের বাজারজাতকৃত সেলটিমা ব্যবহার করে ব্রি-২৮ ধানের বাম্পার ফলন হয়েছে। সেলটিমা ধান ক্ষেতে ব্যবহার করে তিনি লাভবান হয়েছেন।কারন তার পাশের অনেক ব্রি-২৮ ধানের জমিতে ছত্রাকজনিত ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ধানের অধিকাংশই চিটা হলেও তার কোন ক্ষতি হয়নি। তিনি বিঘা প্রতি ২০/২২ মণ ধান পাবেন বলেও আশা করছেন।
নাফকো গ্রুপের সিলেট এরিয়া সেলস ম্যানেজার মোহাম্মদ মাজিদুল ইসলাম তালুকদার নাফকো গ্রুপের বাজারজাতকৃত সেলটিমা ব্রি-২৮ ধান ক্ষেতে ব্যবহারের ফলে শস্যদানা অধিক পুষ্ট ও ওজন বেশী হয়। শীষে চিটার পরিমান অনেক কম হয়, ব্লাস্ট ও সীথ ব্লাইট রোগ দমন করে,রোগমুক্ত ফসল ও অধিক ফলন পেয়ে থাকেন কৃষকরা। তাই নাফকো গ্রুপের বাজারজাতকৃত সেলটিমা ব্যবহারের জন্য স্থানীয় কৃষকদের তিনি আহবান জানান।
উল্লেখ্য চলতি মৌসুমে নাসিরনগর উপজেলার হাওরে শত শত ব্রি-২৮ ধানের জমিতে ছত্রাকজনিত ব্লাষ্ট রোগে আক্রান্ত হয়ে ধানের অধিকাংশ ধান সর্ম্পূণ শুকিয়ে চিটা হয়ে গেছে।