আমার ছেলেকে নিয়ে শুক্রবার ছুটির দিনে আমাদের গ্রামে এক আত্বীয়ের বাড়ীতে যাই তাদের খোজখবর নেয়ার জন্য। আমার মা বেঁচে থাকতে প্রায় সময়ই তাদের বাড়ীতে যেতেন, খোজখবর রাখতেন, গল্প করে সময় কাটাতেন। ওই বাড়ীতে গিয়ে দেখি তাদের ঘরের পিড়াতে ১৪/১৫ বছরের কিছু স্কুল পড়-য়া ছেলে বসে হাতে মোবাইল নিয়ে তার দিকে তাকিয়ে আছে আর বলছে, দে..দে। মার...মার। বাঁচা ভাই...বাঁচা। তাদের এই চেচামেচির বিষয়ে জানতে পারলাম তারা মোবাইলে গেম্স খেলছে। আমরা যে দুই তিন জন মানুষ অনেকক্ষন তাদের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলছি, সেদিকে তারা ভ্রুক্ষেপই করলো না। তারা তাদের মতো করেই অনবরতো খেলেই যাচ্ছে। আমার ৮ বছরের ছেলে ফাহমিদ হাসানকেও দেখি মোবাইল ছাড়া যেনো তার চলেইনা। অষ্টম শ্রেণীতে পড়-য়া মেয়ে ফাহমিদা তৃপ্তি’রও একই অবস্থা। এটা শুধু আমাদের ঘরের একার ঘটনা নয়। ঘরে ঘরে একই অবস্থা।
বর্তমান সময়ে সারা দুনিয়ায় স্মার্টফোন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অন্যতম একটি অনুষঙ্গ। তবে, এই স্মার্টফোনের অতিমাত্রায় ব্যবহার যে মানবদেহের জন্য কতোটা ক্ষতিকর সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা বরাবরই সতর্ক করে আসছেন। শিশু বিশেষজ্ঞরা শিশু-কিশোরদের স্মার্টফোন থেকে প্রতিনিয়তই দুরে রাখার পরামর্শ দিয়ে আসছেন। তারপরও এই স্মার্টফোনের ব্যবহার না কমে বরংচো সাম্প্রতিক সময়ে আমাদের দেশে শিশু-কিশোরদের মধ্যে প্রযুক্তিতে আসক্তির পরিমান আশঙ্কাজনক হারে বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুারো আয়োজিত জনশুমারি ও গ্রহগণনা-২০২২-এর প্রাথমিক প্রতিবেদনের তথ্যে উঠে এসেছে, দেশে ৫ থেকে ১৮ বছর বয়সসীমায় মোবাইল ব্যবহারকারীর হার ৫৫ দশমিক ৮৯ শতাংশ। শিশু-কিশোরদের অভিভাবকদের জন্য যা রিতিমতো মারাত্বক চিন্তার বিষয়।
শিশু-কিশোরদের প্রযুক্তিতে আসক্তির বিষয়টি করোনাকালীন সময়ে আরও তীব্রতর হয়েছে এবং তা স্থায়ী অভ্যাসে পরিনত হয়েছে। সে কারণে বিশেষজ্ঞমহল এমন পরিস্থিতিতে অভিভাবকদের প্রতি পরিবারে শিশুদের আরও বেশী সময় দেয়ার পরামর্শ দিয়েছেন। বিশে^ সর্বপ্রথম মটোরোলা কম্পানীতে কর্মরত “মার্টিন কুপার” স্মার্টফোন আবিষ্কার করেন। আইবিএম আর মিতসুবিসি ইলেকট্রিক কর্পোরেশনের যৌথ উদ্যোগে ১৯৯৪ সালে বিশ্বের প্রথম স্মার্টফোন তৈরী করে রীতিমতো সারা ফেলে দেন। সেই থেকে স্মার্টফোনের সুফল এবং কুফল দুটোই সারা পৃথিবীতে সমান হারে পথ চলতে শুরু করে। তার প্রভাব আজ প্রতিটি ঘরে-ঘরে শিশু-কিশোরদের মধ্যেও ছড়িয়ে পরেছে। এবং এই মোবাইল আসক্তি শিশু-কিশোদের মধ্যে মারাত্বক পেথোডিনের নেশার মতোই পেয়ে বসেছে। তারা আজ লেখাপড়া, খাওয়াদাওয়া, কাজকর্ম বাদ দিয়ে মোবাইল নিয়ে নেশার মধ্যে কাটিয়ে দেয় দিনের বেশীর ভাগ সময়। শিশু-কিশোর, যুব সমাজ নেশার মতোই পথে ঘাটে, পাড়া মহল্লায়, বাড়ির আঙ্গিনায়, পথের মোড়ে মোড়ে জটলা বেধে স্মার্টফোন ব্যবহারে অভ্যস্থ হয়ে পরেছে। পড়ার টেবিলে, স্কুল-কলেজে ক্লাস চলাকালীন সময় এমনকি পথ চলাল সময়ও হাতে থাকা স্মার্টফোনের দিকে তাকিয়ে ব্যবহার করতে থাকে আর হাটে। এতে করে তাদের যন্ত্রনায় পথচারীরাও ত্যক্ত-বিরক্ত অনুভব করে থাকেন। এদিকে ফোন ব্যবহারকারীরা ফোনে কথা বলতে বলতে পথ চলতে গিয়ে অনেক সময় সড়ক দুর্ঘটনারও শিকার হয়ে থাকেন। শিশু-কিশোররা বাবা-মা, অভিভাবকদের চোখ ফাঁকি দিয়ে মোবাইলে গেম্স খেলা, টিকটক, শর্ট ভিডিও দেখা, পাপজি খেলা এমনকি পর্ণোগ্রাফির সাইডসহ সব সাইডপ্রদক্ষিণ করে থাকে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে স্মার্টফোন ব্যবহারকারী অসুস্থ, খিটখিটে মেজাজের এমনকি বাবা-মা, অভিভাবকদের অবাদ্য হয়ে পরতে দেখা যাচ্ছে। শুধুমাত্র মানসিক স্বাস্থ্যেই এর প্রভাব পরছে তাই নয়, শরীরেও মোবাইল ফোনের খারাপ প্রভাব পরছে। এ ব্যাপারে মাদারীপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের শিশু বিভাগের কনসালটেন্ট ডাঃ সজিব রায়হান বলেন, শিশু-কিশোরদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার যতটা সম্ভব দূরে রাখাই ভালো। এগুলো তাদের কল্পনাশক্তিকে সীমিত করে ফেলে। এ ছাড়া চোখ ও মস্তিস্কেরও ক্ষতি করে। বিশেষ করে চোখের বেশী ক্ষতি হচ্ছে। একাধারে মোবাইলের দিকে তাকিয়ে থাকার ফলে চোখের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। শিশুদেরে কথা শিখতে দেরি হচ্ছে।
মোবাইল ফোনের ৮টি ক্ষতিকর প্রভাবে সারা বিশ্বের শিশুরা বিভিন্ন ক্ষতির সম্মুক্ষীন হচ্ছে। যে সকল শিশুদের অধিক সময় ধরে মোবাইল ফোন ব্যবহার করার প্রবনতা রয়েছে তাদের কানের কাছে ফোন রাখার কারণে কান এবং মস্তিস্কের অঞ্চলে অ্যান্টিম্যালিগন্যান্ট টিউমার হওয়ার উচ্চতর সম্ভাবনা রয়েছে। সুতরাং এই অঙ্গগুলি মোবাইল ফোন থেকে নির্গত ৬০% রেডিয়েশন শোষন করে বিকিরণটি মানুষের শরীরে অদ্ভূত প্রভাব ফেলতে পারে। এটা আবার কখনো কখনো সরাসরি স্নায়ুতন্ত্রকে প্রভাবিত করে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এটিকে একটি “সম্ভাব্য কার্সিনোজেন” হিসেবে শ্রেণীবদ্ধ করেছে এবং এটি ক্যান্সারের সম্ভাব্য ঝুঁকি বহন করে। যদিও ইন্টারনেট সবার জন্য অন্যতম একটি জ্ঞানের আবাসস্থল।
এদিকে স্মার্টফোনের অতিমাত্রায় ব্যবহারে দাম্পত্যে ফাটল পর্যন্ত দেখা দেয়ার খবর সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। সম্প্রতি দ্য ইকোনোমিকস টাইমসের প্রতিবেদনে জানাযায়, ভারতে চালনো এক সমীক্ষায় শুধু শিশু-কিশোরদের নয় বড়দের ক্ষেত্রেও নেতিবাচক ভূমিকা রাখছে স্মার্টফোন। মোবাইল ফোন কোম্পানি ভিভোর চালানো ওই সমীক্ষায় অংশগ্রহনকারী অধিকাংশ দম্পত্তি মনে করেন স্মার্টফোনের অতিরিক্ত ব্যবহার তাদেও সম্পর্কে ক্ষতি করছে। সমীক্ষায় দিল্লী, মুম্বাই, কলকাতা, চেন্নাই, হায়দরাবাদ, বেঙ্গলুর, আহমেদাবাদ এবং পুনের মতো বড় শহরে হাজারের বেশি দম্পতিকে প্রশ্ন করা হয়। এতে তারা বলেছেন, স্মার্টফোনে সময় কাটানো তাদের কাছে সবচেয়ে স্বাচ্ছন্দের।
সোনারগাঁ সরকারী কলেজের অধ্যক্ষ ও মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আশফুজ্জামান অপু বলেন, শিশু-কিশোরদের মোবাইল আসক্তি বিশেষ করে এন্ডোয়েড মোবইল আমাদের পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্রিয় ক্ষেত্রে অবনতির জন্য ভয়াবহ গুরুত্ব বহন করছে। আসলে বর্তমানে সারাদেশে স্কুল কলেজ লেভেলে যে সব শিক্ষার্থীরা আছে তাদের মোবাইলের প্রতি বিশেষ আসক্তি হয়ে গেছে। মনোবিজ্ঞানের ভাষায় আমি বলবো তাদের বিশেষ মানসিক রোগ যাকে বলি গবহঃধষ ফরংবধংব সেটা বেশী চাপিয়ে পরেছে। এন্ডোয়েড মোবাইল এত ক্ষতি কারক জিনিস, যার কারণে ছেলে-মেয়েদের চোখের সমস্যা হচ্ছে। মানসিক সমস্যা হচ্ছে, স্বাস্থ্যের ক্ষতি হচ্ছে। এবং তারা দিনের পর দিন যে ভাবে মোবাইল গুলো ইউজ করছে একজন শিক্ষক হিসেবে আমি বলব, আমরা প্রতিটা জায়গায় দেখছি যে এন্ডোয়েড মোবাইল যারা চালাচ্ছে বিশেষ করে স্কুল লেভেলের শিশুরা তারা অত্যন্ত ক্ষতি গ্রস্থ হচ্ছে। আজকাল ক্লাস রুমে ছেলে-মেয়েরা মোবাইল নিয়ে যাচ্ছে। বাজারে গুরতে যাচ্ছে সেখানেও মোবাইল, বাসায় পড়ার টেবিলের নিচে, বইয়ের নিচে সে মোবাইল রেখে পড়ছে। বিভিন্ন স্তরে মোবাইলের এই সমস্ত খারাপ দিক গুলো সারা দেশে ছড়িয়ে পরছে। ছেলে-মেয়েরা সুস্থ্য ভাবে বড় হয়ে উঠবে, বা বিকাশ লাভ করবে সেই জিনিসটা থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছে। চক্ষু হাসপাতাল গুলো গেলে দেখা যায়, বেশিরভাগ শিশু-কিশোররাই চোখের সমস্যায় ভূগছে। মানুসিক ভাবে তারা বিভিন্ন খারাপ কাজে জড়িয়ে পরছে। স্বাস্থ্যের ক্ষয় হচ্ছে। মোবাইলের আসক্তি থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে আমাদের পরিবার থেকেই কন্টোল করতে হবে। এর জন্য আমরা বাবা-মাকেই দায়ি করবো।
সোনারগাঁ কাজী ফজলুল হক উইমেন্স ইউনিভার্সিটি কলেজের সমাজ বিজ্ঞানের সহযোগী অধ্যাপক উত্তমকুমার রায়ের বলেন, শিশু-কিশোরদের সেলফোন আসক্তি সমাজ এবং মানবদেহের জন্য অবশ্যই ভয়াবহ। কিন্তু অভিভাবকদের নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রে শিক্ষার অনুষঙ্গ হিসেব সেলফোনের পরিমিত ব্যবহার শিশু-কিশোরদের জন্য দরকার আছে বৈকি। এ ক্ষেত্রে বরং শিশু রিসোর্স হিসেবে বিশ্ব জ্ঞানভান্ডর মুঠোফোনে হাতের মুঠোতে পেয়ে যায়। এটি খুবই পজিটিভ। সেলফোনের সহায়তায় শিশু-কিশোররা প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহারের মাধ্যমে বিশ্বের সবশেষ আবিষ্কৃত জ্ঞান, তথ্য ও শিল্পকলার নানা সুকুমার বৃত্তি ও নির্দোষ বৃত্তির সঙ্গে পরিচিত ও নিজের মেধার উন্নয়ন ঘটাতে পারে খুব অনায়াসে। কেননা আমাদের প্রচলিত শিক্ষা ব্যবস্থায় অনেক খামতি আছে বিদ্যমান অনগ্রসর সমাজ ব্যবস্থার কারণেই। শিশু-কিশোররা উন্নত শিক্ষা এর মাধ্যমে পেতে পারে। অধ্যাপক উত্তম বলেন, কোনো নয়া প্রযুক্তির ভালো খারাপ দুটো দিকই থাকে। মুঠোফোনেরও তাই। রেডিও টেলিভিশন আসার সময়ও এমন, সব গেলো সব গেলো রব উঠেছিল। এখনো কিছু লোক সব গেলো রব তুলে যাচ্ছেন।
তবে হ্যা। সেলফোনে যে সব শিশু-কিশোররা ভিডিও আসক্তিতে ডুবে থাকছে তাদের নিয়ে উদ্বেগ স্বাভাবিক। প্যারেন্টিং গবেষকরা ঠিকই বলছেন, এখন বাস্তবতা সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্মার্টফোন ও ইন্টারনেটের সহজলভ্যতার কারণে ভিডিও গেমস এখন হাতের নাগালে। শহর কিংবা গ্রাম- কোনো তফাৎ নেই। কিছুকিছু ক্ষেত্রে গ্রামের পরিস্থিতি বেশি ভয়াবহ। প্রযুক্তির সঠিক ব্যবহার শেখার আগেই প্রযুক্তি এখন হাতে মুঠোয়। এর ফলে কী ক্ষতি হচ্ছে, সেটা আর ভেঙে বলার দরকার নেই। খোলা মাঠ, পুকুরঘাট, শ্রেণিকক্ষ, চা-দোকান, বসার জায়গা- যেখানেই তাকান না কেন, দেখবেন এক বা একাধিক শিশু দলবেঁধে ভিডিও গেমস খেলছে। অথবা সোশাল মিডিয়া ও আজেবাজে সাইটে বুঁদ হয়ে আছে।
স্মার্টফোনের ডিসপে¬ এখন অনেক উন্নত, পাশাপাশি ভিডিও গেমসগুলোর দৃশ্যও অনেক বেশি প্রাণবন্ত। যার ফলে গেমস থেকে দৃষ্টি ফিরিয়ে নেওয়া শিশুদের পক্ষে খুব কঠিন। কোমলমতি শিশুরা বেশিরভাগ সময়ই বাস্তব ঘটনা ও এসব দৃশ্যের মধ্যে পার্থক্য করতে পারে না। এসব দৃশ্যকেই তারা স্বাভাবিক মনে করে। মনের গহিনে গড়ে ওঠে আরেকটি জগৎ, যা থেকে তারা আর বের হতে পারে না। যার ফলে শিশু বারবার ভিডিও গেমস খেলতে চায়। শিশুকে বুঁদ করে রাখে গেমের নেশা। তাছাড়া, পরিবারে মা-বাবার মধ্যে দাম্পত্য কলহ, মাদকের সহজলভ্যতা, সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, নৈতিক শিক্ষার অভাব, হতাশা, বিষণœতা ইত্যাদি বিষয়ও প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে এসবের কারণ।
এছাড়াও বেশিরভাগ ভিডিও গেমস এমন সব কন্টেন্ট থাকে, যা শিশুকে আস্তে আস্তে নৈতিক অবক্ষয়ের দিকে নিয়ে যায়। ভিডিও গেমসে বিদ্যমান কন্টেন্টের বেশিরভাগই হচ্ছে সহিংসতা, রক্তাক্ত হামলা, ধ্বংসলীলা, হত্যা, চুরি, যৌনতা, প্রতারণা ও অমানবিকতা। এসব জিনিস দেখতে দেখতে শিশুরা নীরবে অন্যায় ও অপরাধ কর্মে উৎসাহিত হচ্ছে। আরেকজনকে আঘাত করা যে অন্যায়, অন্যের জিনিস ছিনিয়ে নেওয়া যে অপরাধ-এই মানবিক মূল্যবোধগুলো শিশু বুঝতে শিখে না। যার চূড়ান্ত পরিণতি হচ্ছে নৈতিক অবক্ষয়।
তবে বিপুল জনগোষ্ঠীকে যদি মুঠোফোনের সঠিক ব্যবহারে সচেতন করা যায়, তাহলে এই সমস্যাকে লাগাম দেওয়া সম্ভব হবে। আমাদের রাজনীতিবিদ, বুদ্ধিজীবী এবং নীতিনির্ধারকরা পরিস্থিতি উত্তরণে নিশ্চই আশু পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
সোনারগাঁ থানার অফিসার্স ইনচার্জ (ওসি) মাহাবুব আলম বলেন, শিশু-কিশোর বা যারাই এন্ডোয়েড মোবাইল ফোন ব্যবহার করে থাকেন এটা অপরাধের পর্যায়ে পরে না। তবে এটা ক্ষতিকর। শিশু-কিশোরদের মোবাইল ফোন অতিমাত্রায় ব্যবহারে শারীরিক ও মানসিক ভাবে বিপর্যস্থ করে ফেলে। তাদের সুষ্ঠ এবং কাঙ্খিত বিকাশ লাভ বিগ্নিত করে। অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ইন্দ্রিয় চোখ তার স্বাভাবিক শক্তি হাড়িয়ে ফেলে। অধিকাংশ ক্ষেত্রেই দেখা যায়, দীর্ঘ সময় শিশু-কিশোররা স্মার্ট ফোন নিয়ে ব্যস্ত থাকে। ফলে তাদের লেখাপড়া এবং দৈহিক বিকাশের সহায়ক কায়িক পরিশ্রম সমৃদ্ধ খেলাধুলা যেমন ফুটবল, বলিবল, ক্রিকেট, বেটমিন্টন ইত্যাদি খেলাধুলার আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ফলে শ্বরীরিক ভাবে সঠিক এবং সুষ্ঠ ভাবে তারা গড়ে উঠতে পারছে না। প্রতিটি অভিবাবকের উচিত একটি নিদ্রিষ্ঠ বয়সসীমায় পৌছানোর আগ পর্যন্ত স্মার্টফোন তাদের হাতে তুলে না দেয়া।
আমরা সামাজিক পুলিশিংয়ের মাধ্যমে বিভিন্ন সচেতনতা মূলক প্রচার এবং স্মার্টফোনের মাধ্যমে যেসব অপরাধ সংঘঠিত হয় সে গুলোর মধ্যে যথাযথ আইনি ব্যবস্থা নিয়ে আর্থসামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে সচেষ্ঠ হওয়া।