টাঙ্গাইলের দেলদুয়ারে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার রাতে উপজেলার পাথরাইল ইউনিয়নের চন্ডী গ্রামে ঘটেছে ঘটনাটি। এ ঘটনায় সোমবার রাত পৌনে ৯টায় দেলদুয়ার থানায় ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছে। ধর্ষনের শিকার ওই কিশোরী বেলায়েত হোসেন বহুমুখী উচ্চবিদ্যালয়ের ভোকেশনাল বিভাগের দশম শ্রেণীর ছাত্রী। মামলার বাদী ভিকটিমের মা বলেন, এলাসিন ইউনিয়নের সিংহরাগী গ্রামের মো. শাকিল মিয়ার ছেলে মো. ইমন মিয়া ৭/৮ মাস আগে মোবাইল ফোনে যোগাযোগের মাধ্যমে আমার মেয়ের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। রোববার আমার মেয়ে খালার বাড়ী যাওয়ার কথা বলে বাড়ী থেকে বের হয়। সিলিমপুর সিএনজি স্টেশনে পৌছরে সেখানে ইমন তাকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সিএনজি যোগে অজানা উদ্দ্যেশে নিয়ে যায়। সারা দিন বিভিন্ন স্থানে ঘুরাঘুরি করে রাতে আমার বোনের বাড়ী চন্ডী এসে ইমন বলে আমরা বিয়ে করেছি। মিথ্যা প্রলোভনে সেখানে ইমন রাতে একাধিকবার আমার মেয়েকে ধর্ষন করে। খবর পেয়ে সকালে সোমবার সকালে সেখানে গিয়ে জানতে পারি তাদের বিয়ে হয়নি। এ ঘটনা জানাজানি হলে পুলিশ আমার মেয়ে সহ ইমনকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।
দেলদুয়ার থানা অফিসার ইনচার্জ মো. নাছির উদ্দিন মৃধা বলেন, মেয়ে অপ্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ায় তাদের উভয়কে আটক করা হয়েছে। ছেলেকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। মেয়ে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রিপোর্ট হাতে পেলে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্তা গ্রহণ করা হবে।