ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগরে উপজেলা বিএনপির দু’পক্ষের মধ্যে দুই দফা সংঘর্ষে ছয়জন আহত হয়েছে।এ ঘটনায় এলাকায় উত্তেজনা পরিবেশ বিরাজ করছে। বিএনপির একাংশ উপজেলা বিএনপি অফিস দখল করে মহড়া দিয়েছেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুর তিনটার দিকে প্রথম দফা নাসিরনগর কলেজ মোড়ে ও রাতে আনন্দপুর মোড়ে দ্বিতীয় দফা সংর্ঘষের ঘটনা ঘটে। বিকেলে গুরুতর আহত অবস্থায় নাসির উদ্দিন ও রায়হানকে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রাতে আরেক দফা হামলা শিকার হন উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক সৈয়দ আব্দুল্লাহ নিউটন।
একাধিক সূত্রে ও বিএনপির নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায় ,নাসিরনগর উপজেলা বিএনপির কমিটিকে কেন্দ্র করে সৈয়দ একরামুজ্জামান সুখন ও অ্যাডভোকেট একেএম কামরুজ্জামান মামুনের মধ্যে বিভক্তির সৃষ্টি হয়। উপজেলা সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠনের পর বুধবার বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা সৈয়দ একে একরামুজ্জামান সুখন দলীয় নেতাকর্মীদের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করতে নাসিরনগরে আসেন। তার আগমন উপলক্ষে অ্যাডভোকেট কামরুজ্জামান মামুনের পক্ষের লোকজন সৈয়দ একে একরামুজ্জামানকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়ে ওই দিনই বিকেলে দলীয় অফিস দখল করে মহড়া চালায়। সন্ধ্যা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত চলে মহড়া। পরের দিন বৃহস্পতিবার দুপুরে একরামুজ্জামান সদর ইউনিয়নের দাঁতমন্ডল গ্রামের একটি অনুষ্ঠান থেকে ফেরার পথে হামলার শিকার হয়। এ সময় দুই পক্ষের সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়।
আহতরা হলেন,উপজেলা ছাত্রদলের সাবেক সভাপতি নাসির উদ্দিন,সদর ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক মো রায়হান,সদর ইউনিয়ন যুবদল সাধারণ সম্পাদক শাহ মোহাম্মদ ইসমাইল,যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জামাল মিয়া ও উপজেলা জাসাসের সদস্য সচিব মো. সাদেকুর রহমান। অন্যদিকে রাত সাড়ে আটটার দিকে আনন্দপুর মোড়ে হামলার শিকার হন উপজেলা জাসাসের আহ্বায়ক সৈয়দ আব্দুল্লাহ নিউটন। এ ঘটনায় উপজেলা বিএনপির সভাপতি এম এ হান্নান বলেন,নাসিরনগর উপজেলা বিএনপি ঐক্যবদ্ধ আছে। সহযোগী ও অঙ্গ সংগঠনের কমিটি গঠনকে কেন্দ্র করে অভ্যন্তরীন ঝামেলা থাকতে পারে। আশাকরি সেটা সমাধান হয়ে যাবে। নাসিরনগর থানার অফিসার ইনর্চাজ(ওসি)মোহাম্মদ হাবিবুল্লাহ সরকার জানান,এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত থানায় কেউ মামলা নিয়ে আসেনি।