নওগাঁর সাপাহার উপজেলার স্বনামধন্য তেঘুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণীর মোসা: খাদিজাতুল কোবরা নামের একজন সহকারী শিক্ষক অত্র বিদ্যালয়ে যোগদান করার পর হতে ৭বছর যাবত অনুপস্থিত থাকায় ওই বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত কোমলমতি শিশু শিক্ষার্থীরা তার নিকট হতে পাঠ গ্রাহণ হতে বঞ্চিত অন্যান্য শিক্ষকরা তাদের পাঠদানের পাশাপাশি অনুপস্থিত ওই শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে। দায়িত্বজ্ঞানহীন ওই শিক্ষকের অচরণের বিষয়টি বিদ্যালয়ে অধ্যায়নরত সকল শিক্ষক,শক্ষার্থী,অভিভাবকমন্ডলী সহ বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটিকে বেশ ভাবিয়ে তুলেছে।
চাকুরী না করে শতভাগ বেতনভাতাদি উপভোগ করার এরকম সংবাদ পেয়ে সরেজমিনে সাপাহার উপজেলার তেঘুরিয়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গিয়ে ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার সহ সকল শিক্ষকগনের নিকট থেকে জানা গেছে বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে বসবাসরত একজন এমবিবিএর ডাক্তারের স্ত্রী মোসা: খাদিজাতুল কোবরা। সে গত ২০১৬ইং সালের ১৮জানুয়ারী মাসে অত্র বিদ্যালয়ে চাকুরীতে যোগদান করে ৮/৯মাস চাকুরী করার পর ২৭/৯/১৬তারিখে চিকিৎসা আবেদন করে ছুটিতে যান। বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জানান এরপর হতে সে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের কোন তোয়াক্কা না করে কতৃপক্ষকে ম্যানেজ করে খেয়াল খুশিমত ৭/৮দফায় চিকিৎসা ছুটির আবেদন করে অদ্যবদি বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকেন। ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রধান শিক্ষক ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট কয়েদফা আবেদন করেও কোন ফল পাইনি। এ বিষয়ে সাপাহার উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার তৃষিত কুমার চৌধুরীর সাথে কথা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন এবং বলেন যে, ৭বছর অনুপস্থিত নয় কম হবে তার ছুটির মধ্যে পিটিআই ট্রেনিং ও বিভিন্ন সরকারী ছুটিও রয়েছে। তবে তিনি দির্ঘ দিন যাবত ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অনুপস্থিত রয়েছেন যা একজন শিক্ষকের জন্য কাম্য নয়। আমরা তার বিরুদ্ধে ঊর্ধ্বতন কতৃপক্ষের নিকট অভিযোগ জানিয়েছি, ঊর্ধ্বতন অফিস হতে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা চলমান প্রক্রিয়ায় রয়েছে বলেও জানিয়েছেন।
৭/৮বছর চাকুরী না করেও শতভাগ বেতনভাতাদি উত্তোলন করে এখনও বহাল তবিয়্যতে থাকায় সত্যি ওই শিক্ষকের বিষয়টি এলাকাবাসীকে ভাবিয়ে তুলেছে এবং সকলে বলাবলি করছে ডিজিটাল দেশে ওই শিক্ষকের খুঁটির জোর কোথায়?