হাসপাতাল এবং ক্লিনিকসমূহ চিকিৎসার একটি প্রাসঙ্গিক অংশ। সাধারণত এই ধরনের স্থানগুলোতে মানব জীবনের সম্পূর্ণতা এবং সুস্থতা সংশ্লিষ্ট সমস্যার সমাধান নিয়ে কাজ করা হয়। সেই কারণে হাসপাতাল এবং ক্লিনিককে আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচনা করা উচিত। এছাড়াও হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলি সমাজের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। চিকিৎসালয় মানব স্বাস্থ্য যতেœর জন্য একটি সমাজসেবা প্রতিষ্ঠান। একজন ব্যক্তি যখন কোন স্বাস্থ্য সমস্যার মুখোমুখি হন, তখন হাসপাতাল-ক্লিনিকের সাহায্যে তাঁর প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য এসে থাকেন। তাই হাসপাতাল এবং ক্লিনিক নিয়মিত সেবার পাশাপাশি নির্দিষ্ট নিয়ম এবং আইন মেনে কাজ করতে ও সম্পূর্ণ পরিচালনা ও পরিচর্যার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট আইন পালন করা উচিত।
হাসপাতাল-ক্লিনিককে আইন মেনে চলার কারণ হলো মানব স্বাস্থ্য সেবা নিশ্চিত করা। সরকারি অনেক হাসপাতাল ও চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসাবর্জ্য ব্যবস্থাপনার যথেষ্ট ঘাটতি রয়েছে। বেশির ভাগ হাসপাতাল, ক্লিনিক ও রোগনির্ণয় কেন্দ্রে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বেশ দুর্বল। এমনকি হাসপাতালের পুনর্ব্যবহারযোগ্য ও পুনঃচক্রায়নযোগ্য বর্জ্য, যেমন ব্যবহৃত কাচের বোতল, সিরিঞ্জ, স্যালাইনের ব্যাগ ও প্লাস্টিকের নল, সিরিঞ্জ, ব্লেড, ছুরি, কাঁচি, রক্তের ব্যাগ ও নল, ধাতব উপকরণের মতো বর্জ্য নষ্ট বা ধ্বংস না করে সেগুলো বর্জ্য সংগ্রহকারীর কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। সেসব বর্জ্য নানা হাত ঘুরে পরিষ্কার ও প্যাকেটজাত করে ওষুধের দোকান, বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে চলে যাচ্ছে। এতে যারা বর্জ্য সংগ্রহ করছেন মানে ফেরিওয়ালা, ভাঙারি দোকান ও ফার্মেসির কর্মী বা দোকানদার স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়ছেন। তবে সবচেয়ে ঝুঁকিতে পড়ছেন যারা এসব সামগ্রী ব্যবহার করছেন। এইডসসহ নানা সংক্রামক রোগে আক্রান্ত হতে পারে মানুষ। তা ছাড়া অস্ত্রোপচারের রোগীদের ভোগান্তি তো আছেই। এখানে ক্রেতারা প্রতারণার শিকারও হচ্ছেন। নতুন পণ্যের দামে ব্যবহৃত পণ্য গছিয়ে দিলেও সেটা বোঝার সুযোগ নেই। তাই আমরা মনে করি, আইন অমান্য কারী হাসপাতাল-ক্লিনিকগুলোর ব্যাপারে প্রশাসনের কঠোর হওয়া উচিত।
চিকিৎসার জন্য যে সকল উপকরণ এবং বিভিন্ন আইন ও বিধিমালা রয়েছে হাসপাতাল বা ক্লিনিকগুলোর সেগুলো পালন করা উচিৎ। আর যদি হাসপাতাল বা ক্লিনিক কোনো আইন ভঙ্গ করে থাকে তার প্রতি মানবাধিকার লঙ্ঘনের মামলা করার আইন প্রচলন করতে হবে। কারণ যদি কোনো হাসপাতাল বা ক্লিনিক কোনো রকমের মানবাধিকার লঙ্ঘন করে থাকে তবে তাদের বিরুদ্ধেও সত্যি মিথ্যা যাচাইয়ের মাধ্যমে খতিয়ে দেখা ও তাদের বিরুদ্ধে সঠিক তথ্য প্রমাণিত হলে আইনের আওতায় এনে শাস্তি প্রধান করা। এ ক্ষেত্রে সরকার সাধারণ জনগণ ও দেশের মানুষের স্বার্থে ওইসব হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোর যথাযথ নিরাপত্তা ও গুণগতমান নিয়ন্ত্রণের জন্য প্রয়োজনীয় কার্যক্রম গ্রহণ করবেন বলে প্রত্যাশা করছি।