হবিগঞ্জের মাধবপুরে ঘটনার সময় হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মিটিং থাকলেও মামলার আসামি হলেন শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী। এ নিয়ে এলাকায় মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে। থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক জানান বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।
এলাকাবাসী ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায় মাধবপুর উপজেলার সুরমা গ্রামের হযরত শাহ চাঁন মিয়া চৌধুরী (রঃ) মাজারের কমিটি নিয়ে চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী ও একই গ্রামের ইকবাল চৌধুরীর লোকজনদের মধ্যে দ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। মাজারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু পক্ষের লোকজনদের মধ্যে হামলা, মামলার ঘটনা ঘটে। গত (বৃহস্পতিবার) বিকেলে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ সুরমা গ্রামের মৃত মন্নাফ মিয়ার ছেলে আবদুল আওয়াল মিয়া কৃষি জমিতে কাজ করার সময় ইকবাল হোসেন চৌধুরী ও জয়নাল মিয়ার নেতৃত্বে কয়েকজ লোক দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আবদুল আওয়াল মিয়ার উপর হামলা করলে কৃষক আবদুল আওয়াল গুরুতর আহত হন। এ সময় আবদুল আওয়াল নিজেকে বাঁচাতে হাতে থাকা কোদাল দিয়ে আত্মরক্ষার চেষ্টা করলে অপর পক্ষের আকির মিয়া নামে একজন আহত হয়।
এ ঘটনায় আকির মিয়ার বোন হাবিবা খাতুন বাদী হয়ে শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরীকে ২ নং আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন (মামলা নং-৩৫)। কিন্তু ঘটনার দিন শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে একটি মিটিংয়ে ছিলেন বলে জানা গেছে। বিষয়টি নিশ্চিত করে মাধবপুর উপজেলা প্রেস ক্লাবের আহ্বায়ক মোঃ এরশাদ আলী জানান, গত (বৃহস্পতিবার) ঘটনার সময় তিনি একটি কাজে হবিগঞ্জ জেলা প্রশাসকের নিকট গিয়েছিলেন। সেখানে তিনি শাহজাহানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরীকে বসে থাকতে দেখেছেন। বিকেল পর্যন্ত তিনি জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ে ছিলেন।
এ ব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন চৌধুরী জানান, ঘটনার দিন বিকেল পর্যন্ত আমি জেলা প্রশাসকের কার্য্যালয়ে ছিলাম। এ ঘটনার সঙ্গে আমার বিন্দুমাত্র সংশ্লিষ্ঠতা নাই। প্রতি হিংসা মূলক ভাবে মামলায় আসামি করা হয়েছে। বিষয়টি অত্যন্ত দুঃখজনক। এ ব্যাপারে থানার অফিসার ইনচার্জ মুহাম্মদ আবদুর রাজ্জাক জানান বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।