উজানের কলকারখানা থেকে ফেলা বিষাক্ত বর্জ্যে রায়গঞ্জের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত ফুলজোড় নদীর পানি মারাত্মক দুষিত হয়েছে। ফলে নদীর মাছ ও জলজ অন্যান্য প্রাণি মরে ভেসে উঠছে। শনিবার থেকে এ পর্যন্ত মরে ভেসে ওঠা মাছের দৃশ্য দেখে এলাকাবাসী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোবাইল ফোনের ক্যামেরায় ধারণকৃত ছবি আপলোড দেন। এ নিয়ে এলাকায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। এ দিকে রোববার দুপুরে পরিবেশ অধিদপ্তরের রাজশাহী বিভাগীয় উপ-পরিচালক রাজিয়া সুলতানা সংগীয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিয়ে ফুলজোড় নদীর বিভিন্ন স্থান পরিদর্শন করেন। রাজিয়া সুলতানার সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন রোববার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। কারখানাগুলোর বর্জ্যরে নমুনা নিয়ে বগুড়া ল্যাবে পরীক্ষা করতে দেয়া হয়েছে।
জানা যায় উপজেলার উজানে বগুড়া জেলার শেরপুর উপজলায় স্থাপিত বিভিন্ন কলকারখানা থেকে বিষাক্ত বর্জ্য ফুলজাড় নদীত ফেলা হচ্ছে। এতে নদীর পানি মারাত্মক দুষিত হয়ে মাছ, ঝিনুক, শামুকসহ জলজ প্রাণি মরে ভেসে উঠছে।৷ তাছাড়া দীর্ঘদিন ধরে এই নদীর পানি ব্যবহার করে আসছেন সাধারণ মানুষ। বিষাক্ত পানির কারণে উদ্বিগ্ন এলাকাবাসী।৷ ফলে এই নদীর দুই তীরবর্তী এলাকায় বসবাসকারী প্রায় ৩০ লাখ মানুষের জীবনযাত্রা দুর্বিসহ উঠেছে।এ ব্যাপার রায়গঞ্জ উপজলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা ড. হাফিজুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ঘটনার সত্যতা স্বীকার কর বলেন, এ ব্যাপারে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) সিরাজগঞ্জ জেলা কমিটির আহ্বায়ক দীপক কুমার কর ফুলজোড় নদী দুষণ রোধে প্রয়াজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য সংশ্লিষ্ট উর্দ্বতন কর্তৃপক্ষ বরাবর জোর দাবি জানিয়েছেন।